সাবিনা খাতুনদের মিয়ানমার সফরে যেতে না পারায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। বড়রা মিয়ানমারে যেতে না পারলেও অনুজরা সিঙ্গাপুর যাচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাই খেলতে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী তুর্কমেনিস্তান ও স্বাগতিক সিঙ্গাপুর। এ দুই দলের বিপক্ষে জয় প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। গতকাল বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক রুমা আকতার বলেছেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে খেলার স্বপ্নের কথা। অসম্ভবও মনে করেন না কোচ। কেননা তার অধীনে গত ১০ মার্চ এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সুবজ মেয়েরা। আর ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছিল ছোটনের শিষ্যরা। ফলে সিঙ্গাপুরে লক্ষ্য সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী কোচ গোলাম রব্বানী জানান, ‘এই টুর্নামেন্টে কোয়ালিফাই করতে চাই। তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে নেই, সিঙ্গাপুর স্বাগতিক হলেও আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
প্রতিপক্ষ নিয়ে বিচলিত নন অধিনায়ক রুমা আক্তার। তার কথায়, ‘আমরা ভালো অনুশীলন করেছি। টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। এজন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।’ বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অন্যতম সঙ্গী ছিলেন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। তিনি এই সফরে নেই। কারণ সহকারী কোচ নারী বাধ্যতামূলক। লিটুর স্ত্রী অনন্যা সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করবেন। সিঙ্গাপুরের জালান বাসি স্টেডিয়ামে ২৬ এপ্রিল তুর্কমেনিস্তান ও ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশের মেয়েরা।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাইয়ে বাংলাদেশ খেলবে ‘ডি’ গ্রুপে। এই গ্রুপের তিন দলের মধ্যে একটি দল পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে। ২৩ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল খেলার মধ্যেই রয়েছে। গত মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে রানার্সআপ ও এই মেয়েদের অনেকে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্ট খেলেছে। দুটি টুর্নামেন্ট ঢাকায় হওয়ায় এবারই রুমাদের প্রথম বিদেশ সফর।
