মেসি-এমবাপ্পের রেকর্ডের রাত

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি, জয় পেয়েছে পিএসজি। লিগ ওয়ানে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সকে ৩-১ ব্যবধানে উড়িয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে গেল ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা। পিএসজির হয়ে গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও মেসি। এই জয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত করেছে তারা, ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা দৌড়ে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়েও গেল। ৩১ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭২, সমান ম্যাচ খেলে লাঁস ৬৩। দুই দলের সাতটি করে ম্যাচ বাকি।

১৯ মিনিটে আবদুল সামেদের লাল কার্ড থেকে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেন্স। এরপর মেসি-এমবাপ্পেরা দারুণ সব আক্রমণে প্রতিপক্ষকে আর ম্যাচে দাড়াতেই দেয়নি। ৩১ মিনিটে ভিতিনিয়ার পাস থেকে দলকে লিড এনে দেন এমবাপ্পে। এই গোলে তিনি টপকে যান এডিনসন কাভানিকে। ম্যাচ শুরুর আগে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ১৩৮ গোল নিয়ে কাভানির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন এমবাপ্পে। ১৩৯ গোল নিয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ইতিহাসে পিএসজির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান তিনি। ৩৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া নিখুঁত শটে গোল পেয়ে যান ভিতিনিয়াও। এর ২ মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন মেসি। এমবাপ্পের ফিরতি পাসে গোলরক্ষককে বোকা বানান মেসি। এই গোলের সুবাদে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে স্পর্শ করেছেন মেসি। দুজনেই গোল এখন ৪৯৫টি করে। ৫৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে রুইজের কাছে ফাউলের শিকার হন লেন্সের ফ্রাঙ্কোভস্কি, তিনিই পেনাল্টি কিক নেন। দোনারুম্মাকে ভুল দিকে পাঠিয়ে ব্যবধান কমান ৬০ মিনিটে।

প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের গোলে ১৭টি শট রিয়াল মাদ্রিদের, এর মধ্যে লক্ষ্যে ৭টি। ম্যাচজুড়ে প্রাধান্য। ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল পায়ে রাখা। সব মিলিয়ে দাপুটে এক ম্যাচ। কিন্তু স্কোরলাইনে সেটির প্রতিফলন নেই ততটা। তবে জয়ের স্বস্তিটুকু সঙ্গী করে গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার আশা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে সব পুষিয়ে দেবে দল।

লা লিগায় শনিবার রাতে কাদিসকে ২-০ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। জয়টা পরিষ্কার ব্যবধানেই, তবে গোটা ম্যাচে রিয়ালের পারফরম্যান্সের প্রতিফলন এতে পড়ছে না পুরোপুরি। কাদিসের মাঠে এ দিন অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। একতরফা ম্যাচ হলেও প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৭২ মিনিট পর্যন্ত। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে শটে বল জালে জড়িয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন ডিফেন্ডার নাচো। ৪ মিনিটের মধ্যে দলকে আরেকটি গোল এনে দেন মার্কো আসেন্সিও। এই জয়ে লা লিগায় বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনল কার্লো আনচেলত্তির দল। শীর্ষে থাকা বার্সার পয়েন্ট ২৮ ম্যাচে ৭২। এক ম্যাচ বেশি খেলে রিয়ালের ৬২।

গোল আরো বেশি না হওয়ায় রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়া ম্যাচ শেষে কৃতিত্ব দিলেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক দাভিদ খিলকে। আশা নিয়ে তিনি তাকিয়ে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে, ‘আমরা ভালো খেলেছি। প্রথম গোল পেতে অনেক দেরি হলেও অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। দাভিদ খিল দুর্দান্ত খেলেছে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ খুব ভালোভাবেই ছিল আমাদের। জয় নিয়ে আমরা খুশি। অবশ্যই আমাদের আরও গোল করা উচিত ছিল। তবে আশা করি, চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের জন্য আমরা গোল জমিয়ে রেখেছি।’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে রিয়াল ২-০ গোলে হারিয়েছে চেলসিকে। আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় লেগ স্টামফোর্ড ব্রিজে। লা লিগার পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে থাকলেও শিরোপা লড়াই থেকে এখন অনেকটা দূরে রিয়াল। বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বলা যায় অনেকটা সময়ের ব্যাপার। রিয়ালের সামনে শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগই নয়, অপেক্ষায় আছে কোপা দেল রের ফাইনালও। সব মিলিয়ে লা লিগার ম্যাচে তাড়না ধরে রাখা ও নিজেদের উজ্জীবিত করা কঠিন ফুটবলারদের জন্য, বাস্তবতা মনে করিয়ে দিয়ে দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি জানান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।