ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাফুফের দুয়ারও বন্ধ সোহাগের

বাফুফের দুয়ারও বন্ধ সোহাগের

ফিফা কোড অব এথিক্সের ২০২০ সংস্করণের ধারা ১৩ (আনুগত্যের কর্তব্য), ধারা ১৫ (সাধারণ দায়িত্ব), ধারা ২৪ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার), ধারা ২৮ (অর্থ লোপাট ও অপব্যবহার) লঙ্ঘনের অভিযোগে ২ বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবলীয় কর্মকাণ্ড থেকে ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। বাফুফেকে দেয়া ফিফার তহবিলের খরচের হিসাব দিতে গিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করেছেন বলে গত শুক্রবার বিবৃতিতে জানিয়েছে ফিফা। সেই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কোনো ধরনের ফুটবল কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। গতকাল সোমবার বাফুফের জরুরি সভা থেকে তার জন্য বাফুফের দুয়ারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে আর ঘরোয়া ফুটবলীয় কোনো কার্যক্রমে সোহাগকে রাখা হবে না। এছাড়া ফেডারেশনে কোনও কাজ যেন করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করা হয়েছে সভায়।

আপাতত সোহাগের জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সভাপতির প্রটোকল কর্মকর্তা ইমরান হোসেন তুষারকে। তাকে তিন থেকে ছয় মাসের জন্য এই পদে রাখা হবে। এ সময়ের মধ্যে ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সোহাগের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। দীর্ঘ সভা শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘সাধারণ সম্পাদক দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি ফেডারেশনে যেন আর অংশ নিতে না পারেন ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তুষারকে তিন মাসের জন্য দায়িত্ব দিচ্ছি। সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নতুন সাধারণ সম্পাদক দেয়া হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমাদের প্রসিডিউয়ের মাধ্যমে পরবর্তীতে নতুন করে সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে। দশজনের কমিটি হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়া হবে। কী হয়েছে- তা জানার পর, যা হয়েছে তা আমাদের পছন্দ হয়নি। তা যেন আর কোনো দিন না হতে পারে, এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ বাফুফের চার সহ-সভাপতির সঙ্গে তিন সদস্য সত্যজিতৎ দাস রুপু, ইলিয়াস হোসেন, জাকির হোসেন চৌধুরি ও ইন্টারনাল অডিট কমিটির তিন সদস্য মিলিয়ে মোট ১০ জনের বিশেষ কমিটি গঠন হয়েছে। বাফুফে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘পরবর্তীতে ফেডারেশনে আবু নাইম সোহাগ যেন কাজ করতে না পারে এবং অংশ নিতে না পারে আমাদের কমিটির সভা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। সে আর ঢুকতে পারবে না।’

ইমরানের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারী, হেড অব ফিন্যান্স আবু হোসেন ও গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ। তবে তাদের রেখে ইমরানকেই এ পদের জন্য বেছে নিয়েছেন ফুটবল ফেডারেশনের হর্তাকর্তারা। আবু নাইম সোহাগের কর্মকান্ডে আর্থিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। এই দায় ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী এড়াতে পারেন না এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘ফিন্যান্স কমিটির কোনো দায় বা ব্যর্থতা ফিফার রিপোর্টে নেই। এটা সম্পূর্ণ সাধারণ সম্পাদকের ভুল। এর দায় আমরা নেব না।’

বাফুফের এক সহ-সভাপতি ঢাকার বাইরে থাকায় জুমে সংযুক্ত ছিলেন মিটিংয়ে। তিনি ফিফার শোকজ পাওয়া সব স্টাফদের বরখাস্ত চেয়েছিলেন। তার মতে, যে আর্থিক বিভাগের জন্য ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে তাদের স্বপদে রাখার যৌক্তিকতা নেই। ফিফার রিপোর্টের পর আবার তদন্তের বিষয়টি তার কাছে অযৌক্তিক বলে মনে হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত