সুপার লিগে থাকছে রিজার্ভ ডে

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষে শিরোপার লড়াইয়ে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে শিরোপাধারী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও আবাহনী। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দেশের মূল টুর্নামেন্ট ডিপিএলের প্রথম পর্বে দেখা গেছে নজরকাড়া সব পারফরম্যান্স। নতুন আসরেও পুরনো চেহারায় এনামুল হক বিজয়কে। তার সঙ্গে দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ব্যাটিংয়ে সবার উপরে আবাহনীর দুই ওপেনার। বোলিংয়ের মুকুট শেখ জামালের ভারতীয় অলরাউন্ডার রসুলের, সঙ্গে আছেন সিটি ক্লাবের অধিনায়ক রবিউল। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন চিরাগ জানি। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সোমবার শেষ হয়েছে প্রথম পর্ব খেলা। দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আগামী ১ মে শুরু হবে শিরোপার সুপার লিগ, যেখানে খেলবে শীর্ষ ছয় দল, আবাহনী, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডান ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। অবনমন এড়াতে রেলিগেশন লিগে লড়বে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব (৬), শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব (৪) ও ঢাকা লেপার্ডস (৩)। রেলিগেশন লিগ শেষে তলানির দুই দল নেমে যাবে প্রথম বিভাগে। বাকি তিন দল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব (৯), সিটি ক্লাব (৮) ও ব্রাদার্সের (৮) লিগ শেষ হয়ে গেছে এরই মধ্যে।

ডিপিএলের সুপার লিগ নিয়ে গতকাল বৈঠক শেষে সিসিডিএম চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘সুপার লিগ ও রেলিগেশন লিগের দলগুলোর সাথে আলোচনা করেই ১ মে খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একদিন রিজার্ভ ডে ও একদিন থাকবে বিশ্রাম। মূলত গরমের কারণে লম্বা বিরতি দিচ্ছি। ক্লাবগুলোরও চাওয়া ছিল ঈদের পর একটা বিরতি যেন পায়। সব ঠিক থাকলে ১৪ মে সুপার লিগ, ও ৯ মে রেলিগেশন লিগ শেষ হবে। খেলা হবে ৪ ভেন্যুতে, এর মধ্যে একটা ভেন্যুতে শুধু রেলিগেশন লিগই হবে। বাকি ৩টায় চলবে সুপার লিগ।’

রেলিগেশনের শঙ্কায় পড়া মোহামেডান এখন সুপার লিগে। প্রথম পাঁচ ম্যাচ শেষে যে দলের ঝুলিতে ছিল ১ পয়েন্ট, তারাই রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করে পঞ্চম স্থানে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে। এবারের লিগে বাজিমাত বলতে মোহামেডানের সুপার লিগে খেলা। সুপার লিগে উন্নীত হওয়া বাকি পাঁচ দলের পারফরম্যান্স প্রত্যাশিতই। ১১ ম্যাচের ১০টিতে জিতে শীর্ষে আবাহনী। ২০ পয়েন্ট নিয়ে রান গড়ে পিছিয়ে থাকা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব দ্বিতীয় স্থানে। মাশরাফি বিন মুর্তজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ শিরোপার রেস থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। আবাহনী ও জামালের চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও লড়াই জমিয়ে দিতে পারে সুপার লিগে।

প্রথম পর্বে ১০টি করে ম্যাচ জিতেছে শেখ জামাল ও আবাহনী। দুই দলের পয়েন্ট সমান ২০ হলেও হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় টেবিলের শীর্ষে শেখ জামাল। তাদের একমাত্র হারটি মোহামেডানের বিপক্ষে। টানা ৮ ম্যাচ জেতার পর নবম রাউন্ডে শেখ জামালের কাছে হারে আবাহনী। মাত্র একটি করে ম্যাচ হারায় শিরোপা লড়াইটা শেখ জামাল ও আবাহনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

লিগের প্রথম পর্বে আবাহনীর ছুটে চলার পেছনে মূল কারিগর দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও এনামুল হক। গত আসরে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ১১শ’র বেশি রান করা এনামুল এবারও শুরু করেন সেই ছন্দে। সাত রাউন্ড পর্যন্ত রান সংগ্রাহক তালিকায় এগিয়ে ছিলেন তিনি, শেষ চার রাউন্ডে ছাড়িয়ে গেছেন নাঈম, ১১ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও সাত ফিফটিতে করেছেন ৭১৯ রান। সিটি ক্লাবের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ায় গড় নেমেছে একশর নিচে, ৮৯.৮৮। স্ট্রাইক রেট, ৯৫.২৩! ২০১৯ প্রিমিয়ার লিগে ৮০৭ রান করেছিলেন নাঈম। ছাড়িয়ে যেতে সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচে করতে হবে আর ৮৮ রান। হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে প্রয়োজন ২৮১ রান। এনামুল ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে করেছেন ৬৪৪ রান, প্রথম ৭ ম্যাচেই করেন ৫৭২ রান। শেষ চার ম্যাচে তেমন রানের দেখা পাননি ৩০ বছর বয়সী ওপেনার। গত আসরে ৩ সেঞ্চুরি ও ৯ ফিফটিতে করেছিলেন রেকর্ড ১১৩৮ রান। নাঈমণ্ডএনামুল ছাড়া পাঁচশর বেশি রান করতে পেরেছেন কেবল রবি তেজা, দুইটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ভারতীয় অলরাউন্ডারের সংগ্রহ ৫০৮ রান।

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় সবার ওপরে আছেন সিটি ক্লাবের রবিউল হক ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের পারভেজ রসুল।