হকির নির্বাচন

‘এক’ প্যানেলের তোড়জোড়

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৫ মে। তবে এরই মধ্যে হকির নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। জানা গেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরপরই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে হকি অঙ্গনে নির্বাচনি হাওয়া লেগেছে। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদে পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হতে পারেন- এ নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা চলছে। তবে ঢাকার শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলোর সমন্বয়ে ঐক্যমত পরিষদ নামে একটি প্যানেল তৈরির কাজ জোরেশোরে শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন সার্ভিসেস সংস্থা, জেলা ও বিভাগকে এ প্যানেলে সম্পৃক্ত করতে তোড়জোর চলছে। সূত্রে জানা গেছে নীতি নির্ধারকদের পরামর্শ নিয়ে শীর্ষ ক্লাবগুলো সমঝোতার মাধ্যমে একটি একক প্যানেল করার চেষ্টা করছে। হকি ফেডারেশনে নির্বাচনি হাওয়া বইতে শুরু করলেও ২০১৯ সালের মতো এবার জমজমাট নির্বাচন হচ্ছে না- এটা এক রকম নিশ্চিত। ভেবে চিন্তে একক প্যানেল গঠনের কাজও এগিয়ে চলছে। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদে কে কে বা কারা আসছেন তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম বিবেচনায় রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে শুধু মাত্র সাধারণ সম্পাদকের নাম আগে চলে এসেছে। এ পদে শীর্ষ ক্লাবগুলোর একাধিক প্রার্থী না থাকায় জমজমাট নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। সূত্রে জানা গেছে সাধারণ সম্পাদক পদে শীর্ষ ক্লাবগুলোর প্রথম পছন্দ বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি একেএম মমিনুল হক সাঈদ। হকি উন্নয়নে তার অবদানের কথা বিবেচনায় রেখে শীর্ষ ক্লাবগুলো অন্য কাউকে নতুন করে এ পদে আনতে আগ্রহী নয়। ফলে আরেকটি মেয়াদে একে এম. মমিনুল হক সাঈদের ওপরই আস্থা রাখতে চাইছেন সবাই। একাধিক সূত্রে জানা গেছে ঈদুল ফিতরের পরপরই তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন সভায় বসতে যাচ্ছেন। সেই সভাতেই আসন্ন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে মে মাসের শেষ দিকে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগেই হকি ফেডারেশনের সম্ভাব্য কমিটির একটি রূপরেখা তৈরি হয়ে যাবে তা সহজেই অনুমেয়। অন্য সূত্র জানায় আবাহনী, মোহামেডান, মেরিনার ইয়াংস ক্লাব ও উষা ক্রীড়া চক্র এমন শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলোর সমন্বয়েই হকি ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচনে একটি ঐক্যমতের প্যানেল গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তবে হকি ফেডারেশনের নির্বাচন সংস্কৃতি তেমন সুখকর নয়। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পাঁচ কাউন্সিলর নিয়ে একটি পক্ষ নির্বাচন বয়কট করেছিল ও পরবর্তীতে তারা ফেডারেশনের কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করেননি। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদককে (খাজা রহমত উল্লাহ) সহসভাপতি ও সহ-সভাপতিকে (আব্দুস সাদেক) সাধারণ সম্পাদক করে একটা মীমাংসা হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলে আবার দুটি পক্ষে ভাগ হয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। পরবর্তীতে অনেক দিন অ্যাডহক কমিটি দিয়ে ফেডারেশনে কার্যক্রম চলে। এরপর প্রায় এক যুগ পর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচিত কমিটির মেয়াদই এখন শেষের (৫ মে) দিকে।