ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জীবনের মঞ্চে টেন্ডুলকারের ‘৫০’

জীবনের মঞ্চে টেন্ডুলকারের ‘৫০’

গোটা একটা প্রজন্ম যাকে নিয়ে মাতোয়ারা, যার ব্যাটে রান উঠলেই উত্তাল হয়ে যেত গঙ্গা, শারজাহর বুকে ঝড় তুলে যিনি পেয়েছেন অমরত্বের খেতাব, সেই শচীন রমেশ টেন্ডুলকারের আজ জন্মদিন। ৫০ বছরে পা রাখলেন ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (২৪ এপ্রিল) ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতীয় এই ব্যাটিং কিংবদন্তি।

ব্যাট হাতে সেই স্কুলজীবন থেকেই নজর কেড়েছিলেন ভারতের ‘ব্যাটিং দেবতা’ শচীন। ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। পরের গল্পটা তো সবারই জানা। ক্রিকেট অভিধানের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের নামের পাশে যোগ করে ‘লিটল মাস্টার’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। জীবন ও ক্রিকেটকে স্বাভাবিকভাবে দেখেছেন শচীন, তার বিভিন্ন কথায় উঠে আসে সুন্দর জীবনবোধ, এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট খেলতে গিয়ে জীবনে অনেক শিক্ষা পেয়েছি। ক্রিকেট আমাকে শিখিয়েছি কী ভাবে সারাজীবন সৎ থাকতে হয় এবং সততার সঙ্গে খেলতে হয়।’ নিজেকে পরিণত ক্রিকেটারের সঙ্গে ভদ্র লোক হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছেন শচীন, ‘যদি ভদ্র হন তাহলে ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার পরেও ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা পাবেন। অভিভাবক হিসাবে আমি চাইব লোকে ‘শচীন দারুণ ক্রিকেটার ছিল থেকে শচীন খুব ভাল মানুষ ছিল বলুক।’

১৯৮৯ সালের নভেম্বরে অভিষেক হওয়ার পর থেকে অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত চোখের পাতা পড়ার মতো নিঃশব্দে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ৩৪, ৩৫৭ রান, খেলেছেন ৬৬৪টি ম্যাচ. হাফ ডজন বিশ্বকাপ। তার জন্যই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে ২০১২ সালের ১৬ মার্চ। মিরপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে খেলেছিলেন ১১৪ রানের ইনিংস। তার আগেও তো কত শতরানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। ঠিক, আরো ৯৯টা শতরান করেছিলেন আগে। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন। তেমনই ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ২০০তম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন! ব্যাটিংয়ের অধিকাংশ রেকর্ড এখনও তার দখলে।

শচীনের ক্রিকেটজীবনের শুরু থেকে শেষ- পরতে পরতে বিস্ময়। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, ‘আমি ক্রিকেট জানি না। শচীন কী ভাবে খেলে তাও জানি না। তা-ও ওর খেলা দেখার চেষ্টা করি। কারণ আমি জানতে চাই, শচীন ব্যাট করলে কেন আমার দেশে অর্থনীতি ০.৫ শতাংশ কমে যায়!’ অমিতাভ বচ্চন একবার বলেছিলেন, ‘শচীনের খেলা দেখার জন্য শুটিংয়ের সময় পরিবর্তন করি।’

সেই তিনি জীবনের অর্ধশত রান পূর্ণ করে ফেললেন, শচীনের অর্ধশত বসন্ত। ১০০ সেঞ্চুরি, ২০০ টেস্টের পর জীবনের ৫০। শুরু আরও এক শতকের অপেক্ষা, যা শুরু হয়েছিল ২৪ এপ্রিল, ১৯৭৩। শুভ জন্মদিন শচীন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত