আগামী ৯, ১২ ও ১৪ মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সবগুলো ম্যাচ হবে চেমসফোর্ডের ক্লাউডি কাউন্টি গ্রাউন্ডে। বাংলাদেশের জন্য সিরিজটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আয়ারল্যান্ডের জন্য তা বাঁচা-মরার লড়াই। ঈদের আমেজ না কাটতেই সিলেটের মাটিতে শুরু হলো বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের তিন দিনের ক্যাম্প। আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিতে প্রথম দিন থেকেই সিরিয়াস অনুশীলনে মগ্ন ছিল তামিম ইকবালের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথম দিন ম্যাচের আবহে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিকে সামনে রেখে শিষ্যদের পরীক্ষা নিয়েছেন গুরু চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। অর্থাৎ ম্যাচে কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে সেটিই অনুশীলনে ঝালিয়ে নেয়া হয়েছে।
পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভার কিংবা ইনিংসের শেষ দিকে; এভাবে বিভিন্ন পরিস্থিতি সামনে রেখে অনুশীলন করেছেন তামিমণ্ডমুশফিকরা। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ‘অনুশীলন যেটি হয়েছে, ম্যাচ আবহে প্রথম ১০ ওভার কীভাবে খেলতে হবে, শেষে কীভাবে খেলতে হবে। এ অনুযায়ী ব্যাটসম্যানকে যে পরিকল্পনা অনুযায়ী নামানো হয়েছে, তারা সেভাবে ব্যাটিং করেছে। আজ ম্যাচের অমন আবহের সঙ্গেই মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আইসিসি সুপার লিগের অন্তর্ভুক্ত তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে। কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হাথুরুসিংহের পরিকল্পনায় সিলেটে ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ। সিলেটের উইকেটে কিছুটা বাউন্স আছে, ইংল্যান্ডের মাটিতে যেটি হতে পারে বড় বাধা। বাংলাদেশ তাই আগেভাগেই নিজেদের প্রস্তুত করছে। উইকেট-কন্ডিশন নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘ইংল্যান্ডের উইকেট বাউন্সি আছে, সিলেটের উইকেটের সুনাম আছে। আজও অনুশীলন করলাম, বাউন্স ছিল। তো এটা সহায়তা করবে। একেবারে তো আর ইংল্যান্ডের মতো উইকেট হওয়া সম্ভব না, যতটুকু হয়েছে সামনে ভালো কাজে দেবে।’
আইপিএল খেলতে যাওয়া লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন না ক্যাম্পে। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান ছুটিতে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে গিয়েছেন। তবে স্কোয়াডের বাইরে থাকা নাসুম আহমেদণ্ডখালেদ আহমেদরা-আবু জায়েদ রাহী-রেজাউর রহমান রাজারা ছিলেন ক্যাম্পে। এই সিরিজটির আয়োজক এসেক্স। খেলা হবে চেমসফোর্ডের ক্লাউডি কাউন্টি গ্রাউন্ডে। ম্যাচগুলো হবে ৯, ১২ ও ১৪ মে। বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আয়ারল্যান্ডের জন্য বাঁচা মরার লড়াই।
