ঢাকা ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জুনিয়র নির্বাচক প্যানেলে হতাশা

জুনিয়র নির্বাচক প্যানেলে হতাশা

বাংলাদেশ কিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জাতীয় দল নির্বাচকরা জানেন, বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলের প্রধান সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, ঢাকার কোচদের অনেকেও জানেন। কিন্তু বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলের প্রধান নির্বাচকের পদটি যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, সে খবর রাখেননি কেউ, বয়সভিত্তিকরা এখন অভিভাবকহীন! গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবু ইমাম মো. কাউসারের দেয়া সূচি অনুসরণ করা জুনিয়র নির্বাচকদের কাজ, কিন্তু পদায়ন হবে না। শুরু আর শেষে একই পদ ‘নির্বাচক’। সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, এহসানুল হক সিজানরা এভাবে পাড়ি দিচ্ছেন লক্ষ্যবিহীন পথ।

এতদিন বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন চারজন, হাসিবুল হোসেন শান্ত, হান্নান সরকার, সাজ্জাদুল ইসলাম শিপন ও এহসানুল হক সেজান। কাজের ব্যাপ্তি বেড়ে যাওয়ায় গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগে নতুন করে নেয়া হয়েছে মেহরাব হোসেন অপি ও সজল চৌধুরীকে। এতদিন বয়সভিত্তিক দলে কোচ ছিলেন অপি। কোচের পাকা চাকরি ছেড়ে নির্বাচক হলেন জাতীয় দলের সাবেক এ ওপেনার। অথচ গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের বয়সভিত্তিক নির্বাচক হিসেবে কোনো দিন পদায়ন হবে না তার। জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলে নেয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বয়সভিত্তিক নির্বাচকদের চুক্তি ছয় মাসের, চুক্তি নবায়নও হয় নিয়মিত। বয়সভিত্তিক নির্বাচকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন নির্বাচক বলেন, ‘ভালো কাজ করেও পুরস্কার নেই। কারণ, এখানে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, তাতে পদ অপরিবর্তিত। আমি হয়তো কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করব। কোচ হিসেবে ভালো করলে আর্থিকভাবে অন্তত লাভবান হবো।’

মাস কয়েক আগে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জুনিয়র নির্বাচকদের থেকে প্রমোশন দিয়ে দু’জনকে জাতীয় দল প্যানেল যুক্ত করবে। সে প্রক্রিয়াও থেমে গেছে। এ ব্যাপারে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘বোর্ডে অনুমোদন হয়েছে জুনিয়রদের থেকে দু’জনকে নেবে। কোন দু’জনকে নেয়া হবে, সেটা ঠিক হয়নি। আমরাও এই সিদ্ধান্ত কার্যকরের অপেক্ষায় আছি।’ বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলে কেন প্রধান নির্বাচক নেই- প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এখানে দীর্ঘমেয়াদে খেলোয়াড় থাকে না, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বয়সভিত্তিক দল থেকে ওপরে চলে আসে। এই বিভাগে কাজ হলো অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক। বয়সভিত্তিক যে লিগ বা টুর্নামেন্ট হয় সেখানে নির্দিষ্ট একজন নির্বাচককে দায়িত্ব দেয়া হয় খেলোয়াড় বাছাই করতে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও একজনকে মনোনয়ন করা হয়। সে কারণে জুনিয়র নির্বাচদের প্রধানের প্রয়োজন হয় না।’

মজার বিষয় হলো জাতীয় দলের জন্য নির্বাচক খুঁজে হয়রান হন বিসিবির কর্মকর্তারা! পদোন্নতির নিয়ম থাকলে বিসিবিকে দুশ্চিন্তা করতে হতো না। বয়সভিত্তিক দল থেকে কাজ করে জাতীয় দলের নির্বাচক হতে পারতেন হান্নানরা। কারণ বয়সভিত্তিক নির্বাচক প্যানেলের সদস্যরাও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত