ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ

কন্ডিশনই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

কন্ডিশনই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ

শক্তিমত্তায় দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট। কিন্তু মাঠে নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলে জেতে তারাই। চিরাচরিত এমনটাই হয়ে আসছে। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রেডিকশন করতে গেলে নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু তিন ম্যাচের সিরিজের ভেন্যু যখন ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ড তখন আইরিশরাও কিন্তু কপালে ভাঁজ তোলার জন্য যথেষ্ট। ইংল্যান্ডে পৌঁছে দ্বিতীয় দিনই অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। এখানে একটু ঠান্ডা আছে। তবে আমরা দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছি।’

মিরাজের ওই সুরে সুর মিলিয়ে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন প্রতিপক্ষের চেয়ে কন্ডিশনকেই বড় বাধা মনে করছেন। পূর্বাচলে শনিবার ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে হাবিবুল বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সিরিজটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের একটা (প্রস্তুতি) ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল। ম্যাচটা খেলতে পারলে খুব ভালো হতো। যদিও অনুশীলনের কিছুটা সুযোগ পাচ্ছি, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সময় পাচ্ছি হাতে। তবে একটা ম্যাচ খেলতে পারলে খুব ভালো হতো। কারণ, কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন।’

মূল লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে শুক্রবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় ম্যাচ ভেস্তে যায়। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের তিন ম্যাচ খেলবে দুই দল। বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজ গুরুত্বের না হলেও আইরিশদের জন্য গুরুত্বের। বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ এরই মধ্যে সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যেতে এসব ম্যাচের গুরুত্ব অনেক। হাবিবুল বাশার সেই কথাই যেন বললেন, ‘যদি জুলাই-আগস্ট মাসে খেলা হতো, আমাদের জন্য ভালো হতো। কারণ ওই সময় ইংল্যান্ডের উইকেট একদম শুষ্ক থাকে। যেটা আমাদের ফেভারে থাকত। আমরা সবসময় ওই সময় ইংল্যান্ডে ভালো খেলি। কিন্তু এই মে মাসের দিকে উইকেট একটু নরম থাকে, বৃষ্টি হয়। কন্ডিশনটা কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং।’

বিরুদ্ধ কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর কাজটা সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘আমার মনে হয়, প্রতিপক্ষ হিসেবে যখন আয়ারল্যান্ডের মাটিতে খেলা হয় তখন খুব ভালো একটা প্রতিপক্ষ তারা। তবে আমাদের জন্য বড় প্রতিপক্ষ কন্ডিশন। আমরা কতটা মানিয়ে নিতে পারছি, তার ওপরে আমাদের পারফরম্যান্সটা নির্ভর করবে।’

কিছুদিন আগেই আয়ারল্যান্ডকে নিজেদের মাটিতে নাস্তানাবুদ করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদেরকে হারায় ২-১ ব্যবধানে। তবে চেমসফোর্ডে কাজটা সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আকরাম খান, ‘বাংলাদেশে যত সহজ মনে হয়েছে জয় পাওয়া অত সহজ হবে না। কারণ, ওই সব জায়গায় আয়ারল্যান্ড ভালো দল। ওরা ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। ওদের সঙ্গে আমাদের ঠিকঠাক ক্রিকেট খেলতে হবে। তিন বিভাগেই আমাদের সিরিয়াস থাকতে হবে। তাহলে আমরা ভালো ফল করব।’

সিরিজ শুরুর দু’দিন আগে সম্প্রচার চ্যানেলের নাম জানিয়েছে আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রিমিয়ার স্পোর্টস শুধু আয়ারল্যান্ডে সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশে কোনো চ্যানেলে দেখা যাবে তা এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইরিশ বোর্ড। বাংলাদেশে কোন চ্যানেলে দেখা যাবে তা জানা যাবে শিগগিরই। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকায় দেখা যাবে উইলো টিভিতে আর ভারতে ফ্যানকোডে। স্বাগতিক বোর্ডই মূলত সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে থাকে। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এটি করছে তৃতীয় পক্ষ টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজম্যান্টের (টিএসএম) মাধ্যমে। এই টিএসএমের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত দেশি কোনও টিভি চ্যানেল সম্প্রচার স্বত্ব কেনেনি।

বৃষ্টি বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত প্রস্তুতি নিতে দিলো না। শুধু তাই নয়, চেমসফোর্ডে এই তিন ম্যাচ সিরিজের সবদিনেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ৯ মে, বাকি দুই ম্যাচ হবে ১২ ও ১৪ মে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত