ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যাডমিন্টনে নির্বাচনি হাওয়া

ব্যাডমিন্টনে নির্বাচনি হাওয়া

ব্যাডমিন্টন লিগ হয় না ৭ বছর; নেই বর্ষপঞ্জিও। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারনে শাটলাররা দেশ ছেড়েছেন-ছাড়ছেন। গত আড়াই বছরে তিনটি অ্যাডহক কমিটি দেখেছে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের পুনর্গঠিত অ্যাডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ করেই ফেডারেশনের নির্বাচনের উদ্যোগ নেন। বহুল প্রতিক্ষিত সেই নির্বাচন ২২ মে।

ব্যাডমিন্টন অঙ্গনে এখন নির্বাচনি হাওয়া বইছে। ব্যাডমিন্টনের বৃহত্তর স্বার্থে একটি সম্মিলিত প্যানেল গঠন করার আলোচনা চলছে। ব্যাডমিন্টন যখন ইতিবাচক ধারায় ফেরার অপেক্ষায়, তখনি চিহ্নিত একটি মহল নানারকম বানোয়াট তথ্য দিয়ে ও মিথ্যাচার করে কুৎসা রটিয়ে এই উদ্যোগকে ব্যহত করার চেষ্টা করছে। প্রকৃত ব্যাডমিন্টন ব্যাকগ্রাউন্ডের সংগঠকদের নিয়ে একটি কমিটি হলে বিগত তিন বছর যাবত ফেডারেশনে গড়ে ওঠা একটি বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট বন্ধ হয়ে যাবে, এটা ভেবেই তারা নির্বাচন বানচাল করে এডহক কমিটি রাখা বা তাদের পছন্দমতো ব্যাডমিন্টন বহির্ভূত লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়ে নানারকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ও কল্পকাহিনী ছড়াচ্ছে। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়া সাবেক শাটলার জোবায়েদুর রহমান রানা বলেন, ‘ব্যাডমিন্টনের বৃহত্তর স্বার্থে একটি কার্যকর ঐক্যবদ্ধ প্যানেল গঠনের জন্য আলোচনা করছি। নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করলে জনপ্রিয় খেলাটা যতটুকু টিকে আছে তাও থাকবে না। ষড়যন্ত্রকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যারা গেড়ে বসেছে তারা স্বাভাবিকভাবেই ইতিবাচক উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে কাউন্সিলররা তাদের বয়কট করবে এবং দেশের ব্যাডমিন্টন সুষ্ঠু ধারায় ফিরে আসবে। এই সিন্ডিকেটের প্রচার করা বিভ্রান্তিকর তথ্য, কুৎসা রটনা, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র নির্বাচনকে রুখতে পারবে না। তাদের ব্যাডমিন্টন এগিয়ে নেয়ার বৃহত্তর স্বার্থে সুষ্ঠধারায় কাজ করার অহ্বান জানাই।’

জানা যায়, এই নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে কুৎসা রটানো সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ের অ্যাডহক কমিটির তৎকালীন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। যারা একটি ক্লাবের কোটি টাকার হিসাব দিতে পারেনি। ক্লাবের খেলোয়াড়দের বেতন ও ভাতাও লোপাট করেছিল। ফেডারেশনে নিম্নমানের চায়নিজ চারটি ম্যাট যার একেকটির মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সেগুলো এনে ইউনেক্স লোগো প্রিন্ট করে চারটি ২০ লাখের বেশি টাকায় ফেডারেশনের নিকট বিক্রি করে। নিম্নমানের কপি শাটল ফেডারেশনের নিকট আসল শাটলের দামে বিক্রি করে। জাতীয় দলের কোচ হয়ে খেলোয়াড়দের কাছে তার প্রতিষ্ঠানের আমদানিকৃত ক্রীড়া সামগ্রী কিনতে বাধ্য করা। এই সিন্ডিকেটের পক্ষ নিয়ে আদাজল খেয়ে নেমেছেন ফেডারেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সিন্ডিকেটকে জিতিয়ে আনার বিষয়ে ফোরামের নেতাদের উপর বিভিন্নভাবে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত