ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ জামাল-আবাহনী ‘ফাইনাল’

শেখ জামাল-আবাহনী ‘ফাইনাল’

২০২২-২৩ ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সব উত্তেজনা মিইয়ে যেতে পারত গতকালই। ১৩ মের শেষ রাউন্ডটা হয়ে উঠতে পারত শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। সেটি হতে গতকাল জিততে হতো আবাহনীকে, আর হারতে হতো শেষ জামাল ধানমন্ডিকে। কিন্তু হয়েছে উল্টো। সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডে জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল, হেরেছে আবাহনী। তাতে ১৫ ম্যাচ শেষে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ২৬। যার অর্থ ১৩ মে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অলিখিত ‘ফাইনালে’ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি।

বিকেএসপিতে বৃষ্টিবিঘিœত ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে আবাহনী। প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৭.২ ওভারে আবাহনী অলআউট ২৪৬ রানে। অথচ কী দারুণ শুরুই না করেছিল দলটি! এনামুল হক ও মোহাম্মদ নাঈমের উদ্বোধনী জুটি ১৭ ওভারেই তুলে ফেলে ৯০ রান। ৬৪ বলে ৬১ রান করে নাঈম গাজী গ্রুপের বাঁ-হাতি স্পিনার টিপু সুলতানের প্রথম শিকার হয়েছেন। সেখান থেকেই আর ১৫৬ রান তুলতে অলআউট আবাহনী। টিপুর অবদানই তাতে বড়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ২০১৮ সালে চারটি যুব ওয়ানডে খেলা টিপু ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ৩৮ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে টিপু এই প্রথম ৪ উইকেট পেলেন। গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেছেন ম্যাচ সেরা আসাদুল্লা আল গালিব। রান তাড়ায় গাজী গ্রুপ ৪১ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৯ রান তোলার পর বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দেয়। বৃষ্টি থামার পর ম্যাচ আবার শুরু হলে ৪৫ ওভারে ২১৪ রানের লক্ষ্য পায় গাজী। ৫ বলের মধ্যেই অবশ্য দরকারি ৫ রান তুলে নেয় লিগে সপ্তম জয় পাওয়া গাজী।

ফতুল্লায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৫০ রান তোলে শেখ জামাল। ওপেনার সৈকত আলী ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৮১ বলে করেন সর্বোচ্চ ১০৮ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে সৈকতের এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেখ জামালের ইনিংসে এছাড়া ফিফটি পেয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান (৭৭ বলে ৬২), জিয়াউর রহমান (৪২ বলে অপরাজিত ৬৪) ও পারভেজ রসুল (২৫ বলে অপরাজিত ৫১)। জিয়া ও পারভেজ অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৩৯ বলে ৭১ রান যোগ করেন। রান তাড়ায় নিয়মিত ওপেনার পারভেজ হোসেনের সঙ্গে নেমে পড়েন রূপগঞ্জের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। যে উদ্দেশ্যে নামা, তা অবশ্য পুরো করতে পারেননি মাশরাফি। ৯ বলে করেছেন ৩ রান। তবে তিনে নামা সোহাগ গাজী ১৪ বলে ২৩ রান করে আস্কিং রানরেটের প্রয়োজন মিটিয়েই ব্যাট করেছেন। সোহাগ ফেরার পরই অবশ্য পথ হারায় রূপগঞ্জ। ওপেনার পারভেজ ৬৫ বলে ৬৩ ও চারে নামা ইরফান শুক্কুর ১১১ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকলেও তা যথেষ্ট হয়নি রূপগঞ্জের। ৪৬.১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫ রান তোলার পর বৃষ্টি এসে থামিয়ে দেয় খেলা। শেখ জামাল এ সময়ে ডিএলএসের হিসেবে এগিয়ে ৫৯ রানে।

মিরপুরে শুধু বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি। মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ দুপুর সোয়া ১টাতেই শেষ! মোহামেডানকে ২৭.৩ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট করে ২০.৫ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় প্রাইম ব্যাংক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত