ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বার্নাব্যুতে রিয়াল-সিটির হিসেবি ড্র

বার্নাব্যুতে রিয়াল-সিটির হিসেবি ড্র

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি আগেই বলেছিলেন- সেমিফাইনালের নিষ্পত্তি হবে ম্যানচেস্টারে, সেটাই হলো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির প্রথম ৯০ মিনিটে আলাদা করা যায়নি রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটিকে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সমানে সমান লড়াই করে ১-১ গোলের ড্র আদায় করেছে দুই দল। হালান্ড বনাম ভিনিসিয়াস-বেনজেমা-রদ্রিগো ত্রয়ীর যে দ্বৈরথ হওয়ার কথা ছিল সেটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বার্নাব্যু। তবে রোমাঞ্চের কোনো অভাব ছিল না। রুটিন মাফিক এই ম্যাচেও বলের দখল রেখে এবং প্রতিপক্ষের অর্ধে প্রেস করে শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ম্যান সিটি। প্রথম ৩৫ মিনিটে ৭০ ভাগের বেশি বলের দখল রাখেন সিটিজেনরা। গোলমুখে চারবার শট নেয় ডি ব্রুইনা-হালান্ডরা। ইংলিশ দলগুলোর চাপে অভ্যস্ত ও বড় ম্যাচে স্বাচ্ছন্দ্যে সিট-ব্যাক করতে সক্ষম কার্লো আনচেলত্তির দল গোল করে তাদের প্রথম শট থেকেই, ৩৬ মিনিটে দারুণ শটে গোল করেন ভিনিসিয়াস। ১-০তেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে সিটি আর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায়নি। প্রথমার্ধের রিয়ালের মতো এবার ম্যাচের গতিবিধি সম্পূর্ণ উল্টে দিয়ে গোল করে বসে সিটি। ডি ব্রুইনার সেই গোলটিও আসে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বুলেটগতির শটে।

গত আসরের সেমিফাইনালে এই দুই দলের ধ্রুপদি ও অবিস্মরণীয় লড়াইয়ের পর এবারের ম্যাচ ঘিরেও ছিল তুমুল আলোচনা ও উত্তেজনা। সেই রোমাঞ্চ স্পর্শ করে মাঠের ফুটবলকেও। প্রাণবন্ত ফুটবল উপহার দেয় দুই দলই।

ম্যাচের আগে আনচেলত্তি বলেছিলেন, ফলাফল ছাড়াও লড়াইয়ের ভেতর মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে তারা প্রথম লেগ শেষ করতে চান। ম্যাচ শেষে মুভিস্টার প্লাসকে মদ্রিচ বললেন, স্কোরলাইনের মতো মানসিকভাবেও একই সমান্তরালেই থাকছে দুই দল, ‘লড়াই এখনো উন্মুক্ত, আমরা ভালো খেলেছি। তারা শুরুর দিকে বল দখলে রেখেছে অনেকটা সময়, তবে সত্যিকারের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ওদের চেয়ে আমরাই বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। মনে হয় না, কোনো দল মানসিকভাবে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগে যেতে পারছে। লড়াই উন্মুক্তই রয়ে গেছে।’ এই লেগের পারফরম্যান্স ধরে রাখার আশায় রিয়াল মাদ্রিদ কোচ, ‘আমরা যেমন খেলেছি, তেমনই খেলতে হবে (পরের লেগে)। জানি না সেটা সম্ভব কিনা, ঘরের মাঠে সিটি হয়তো আরও আগ্রাসী হবে ও চাপ তৈরি করবে। তবে আমাদের কৌশল ছিল ভালো। ওরা বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আমরা আতঙ্কিত হইনি এবং নিজেদের কাজটা করে গেছি। দ্বিতীয়ার্ধে ভালোভাবে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছি আমরা, সুযোগ তৈরি করেছি। জিততে পারলে ভালো হতো। তবে সব মিলিয়ে আমরা সন্তুষ্ট ও ভালো অনুভূতি নিয়েই দ্বিতীয় লেগে যাচ্ছি।’ ফলাফল ও পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তুষ্টি খুব একটা নেই গার্দিওলারও। প্রবল প্রতিপক্ষের মাঠে এই ফলকে খারাপ কিছু মনে হচ্ছে না তার। তবে আরেকটু উন্নতির জায়গা দেখছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ, ‘এটাই ফুটবল। এটা রিয়াল মাদ্রিদ। এখানে বিস্ময়ের কিছু নেই। আমাদের দেখতে হবে, আরো ভালো সমন্বয় কীভাবে করতে পারি, আরেকটু বেশি আক্রমণ যদি করা যায়।’ এই মৌসুমে সিটির গোলমেশিন আর্লিং হলান্ডকে এ দিন একদম অকার্যকর করে রেখেছিল রিয়ালের রক্ষণভাগ। এই ফরোয়ার্ডের চেয়ে বলে বেশি স্পর্শ করেন এই ম্যাচে সিটির গোলকিপার এদেরসন! গার্দিওলা অবশ্য কৃতিত্ব দিলেন রিয়ালের রক্ষণভাগকে। দ্বিতীয় লিগে কিছু জায়গা শাণিত করার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন তিনি। এখন লড়াইটা প্লে-অফের মতো। কিছু ক্ষেত্রে আমরা রক্ষণে আরেকটু ভালো করতে পারি, আক্রমণ একটু ভিন্নভাবে করতে পারি। এরকম কিছু ব্যাপার ঠিকঠাক করতে হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত