ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ জামালকেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

শেখ জামালকেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

এনামুল হক বিজয়-নাঈম শেখ যেভাব ব্যাট করছিলেন মনে হচ্ছিলো হেসে খেলেই জয়ের দেখা পাবে আবাহনী। কিন্তু না, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বোলারদের কল্যাণে ম্যাচটি গড়ায় শেষ ওভারে। দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কাভারে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তানজীম হাসান সাকিব। টস হেরে গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে আবাহনী। রান তাড়া করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয়ে শিরোপা জেতে ঐতিহ্যবাহী দলটি। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের পর গত মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ট্রফি হারায় আবাহনী। তবে চলতি মৌসুমে গতবারের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে হারিয়েই শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এই নিয়ে আবাহনীর শিরোপার সংখ্যা দাঁড়াল ২২টি। সবশেষে তারা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপা জেতে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল শেখ জামাল। তবে আবাহনীর দুই ইনফর্ম ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখের ১৪৫ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের পথটা পেয়ে যায় দল। লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাঈম ৭৯ বলে ৬৮ রান করে আউট হন, তার রান ৯৩২। স্কোরবোর্ডে আরও ৪ রান যোগ হতেই ৮৩৪ রান করে লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক এনামুল আরিফ আহমেদের শিকার হন। ৮১ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় শেষ ম্যাচটিতে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর দ্রুত মাহমুদুল হাসান জয় (৯) ও জাকের আলী অনিককে (২১) হারিয়ে চাপে পড়েছিল আবাহনী। তবে সেই চাপ থেকে দলকে বের করে আনেন আফিফ হোসেন। তার অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে আবাহনী ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর গড়ে। শেখ জামালের বোলারদের মধ্যে তাইবুর রহমান ও পারভেজ রাসুল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আরিফ আহমেদ ও সাইফ হাসান নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শেখ জামাল। ১৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ৮১ রানের জুটি গড়েন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও তাইবুর রহমান। ৭০ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে ফজলে মাহমুদ আউট হওয়ার পর হাল ধরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তাইবুরের সাথে ৪২ রানের জুটির পর রাসুলের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন সোহান। ৮৫ বলে ৫৩ রান করেন তাইবুর। পারভেজ ৩৭ বলে ৪২ রান করে আউট হওয়ার পর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন সোহান। আর তাতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড়ায় দলটির। সোহান ৭০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৮৯ রানের ইনিংস। ১৪ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জিয়াউর। আবাহনীর বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া খুশদিল শাহ ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

লিগের শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ২৫২ রান করেছিল প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু কাশিফ ভাটের বোলিং তোপে পড়ে ৪৩.১ ওভারে ১৭৯ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ, কোনও ব্যাটসমন্যাই দায়িত্বশীল ইনিংস খেলতে পারেননি। গাজী গ্রুপকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। মাঝারি মানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হয় গাজী গ্রুপ। ফলে ৭৩ রানের জয়ে ঢাকা লিগে তৃতীয় হয়ে লিগ শেষ করলো প্রাইম ব্যাংক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত