সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়ল তামিমের

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

ব্যাটিংয়ের জন্য কয়েক মাস ধরে সমালোচিত হচ্ছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাট হাসেনি, দুই ম্যাচে আউট হন ১৪ ও ৭ রান করে। তার কাছ থেকে একটা বড় ইনিংস প্রাপ্য ছিল অনেক দিন ধরেই। টানা ৯ ইনিংসে তার ছিল না ফিফটি। তবে গতকাল তৃতীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৯ মাস পর পাওয়া হাফ সেঞ্চুরিটাকে সেঞ্চুরিতেও পরিণত করতে পারতেন তামিম। পারলেন না ইনিংসকে সেঞ্চুরিতে টেনে নিতে। ৬ চারে ৮২ বলে ৬৯ রানের ইনিংস শেষ হয় দৃষ্টিকটূ শটে। ওয়ানডেতে তামিম সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে। সর্বশেষ ফিফটিও করেছিলেন গত বছরের ৭ আগস্ট একই ভেন্যুতে একই প্রতিপক্ষের সাথে।

আউট হওয়ার ধরনের মতো বাজে ছিল আউট হওয়ার সময়টাও, ৪ উইকেট পড়ে গেছে আগেই। ক্রিজে ছিল স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি। তামিমের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। অন্তত ৪০ ওভার পার করিয়ে নেয়ার দায়িত্ব ছিল দুজনের। ৩৪ ওভারে উইকেট বিলিয়ে ফেরেন তামিম। অথচ বড় ইনিংস খেলার মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। মাত্র ১ রানে জশ লিটলের বলে জীবন পান তিনি, পরের বলেই মারেন প্রথম বাউন্ডারি।

তামিম খেলে যাচ্ছিলেন নিজের মতো করে, ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ফিফটি পূরণ করেন ৬১ বলে। যেটি তার ৫৬তম ওয়ানডে ফিফটি। এটিতে ১৫তম সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ ছিল। দলও তার কাছে দাবি করছিল এমন কিছুই। আরেক প্রান্তে তাওহিদ হৃদয় ততক্ষণে ফিরে গেলেও মুশফিকের সঙ্গে তামিমের জুটি জমে উঠছিল। হঠাৎই জর্জ ডকরেলের বলে দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে বসেন তামিম। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে বলের কাছে যেতে পারেননি, তবু চালিয়ে দেন ব্যাট। ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় সহজ ক্যাচ। দলকে বিপদে ঠেলে ফেরেন অধিনায়ক। ১৮৬ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ হয়ে যায় তার সেঞ্চুরি খরা কাটানোর সম্ভাবনাও। ওয়ানডেতে তার সবশেষ সেঞ্চুরি ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর পেরিয়ে গেল ২১ ইনিংস। বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসমান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে কোনো সেঞ্চুরি নেই। অধিনায়কের ব্যাটে বড় ইনিংসের খরা দলের জন্য দুভার্বনা বটে।