ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল

আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল

সম্ভাবনাটা তৈরি হয়েছিল ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মোহামেডানের ২-১ গোলে জয়ের দিনই। কারণ, অন্য সেমিতে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আবাহনী। দেশের দুই প্রধান দলের স্বপ্নের আরেকটি ফাইনালকে পূর্ণতা দিতে গতকাল কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় শেষ চারে শেখ রাসেলকে ৩-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী। তাতে ১২ বছর পর কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। আগামী ৩০ মে’র ফাইনালে ১৪ বছর পর ঢাকা ডার্বিতে মুখোমুখি হবে মোহামেডান-আবাহনী। কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে দুই দলের শেষ লড়াইটি হয়েছিল ২০১১ সালে, সেটি ছিল সুপার কাপের ফাইনাল। তবে এই দুই দল শেষবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ২০০৯ সালে। অর্থাৎ, ১৪ বছর আগে। সেবার শেষ হাসি হেসেছিল মোহামেডান। ফেডারেশন কাপে ১২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আকাশী-নীলজার্সিধারীরা, ২০০৯ সালে মোহামেডানের সঙ্গে ফাইনাল খেলে হেরেছিল। মোহামেডান ২০০৯ সালের পুনরাবৃত্তি চায়। আবার উল্লাসে মাততে চায়। অন্যদিকে রেকর্ড ২০তম বার ফাইনালে ওঠা আবাহনী চায় শিরোপার ঝুলি আরো সমৃদ্ধ করতে।

এবারের ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বেই দেখা হয়েছিল দুই দলের। ম্যাচটি ৩-৩ ড্র হলে আবাহনী হয়েছিল গ্রুপ সেরা, রানার্সআপ শেখ রাসেল। কিন্তু এবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারল না জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর দল। এ মৌসুমে স্বাধীনতা কাপেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। আবাহনীকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল শেখ রাসেল। পরে অবশ্য বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে যায় তারা। সেই ক্ষতে প্রলেপও দিল আবাহনী। প্রথমার্ধের শেষ দিকে রেজাউল করিমের তেমনি এক লং বল ধরে আবাহনীকে এগিয়ে দেন ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস। বিরতির পর ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছেন ফয়সাল আহমেদ। শেখ রাসেলের দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বল বের করে নিয়ে তাকে পোস্টের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন রাফায়েল আগস্তু। ফয়সাল সেই সুযোগ লুফে নিয়েছিলেন। ৭১ মিনিটে রাসেলের ম্যাচে ফেরার আশা শেষ করে দিয়ে তরুণ এই উইঙ্গারই স্কোরলাইন করেছেন ৩-০। ডান দিক থেকে ক্রসের মতো বাড়ালেও বল পোস্টমুখী হয়ে গোলরক্ষক আশরাফুল রানাকেও বিভ্রান্ত করে জালে। ফলে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনালে পৌঁছে গেছে আবাহনী। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর শিরোপার দ্বৈরথের মঞ্চ তৈরি হলো তাতেই।

ফাইনালে উঠতে পেরে স্বাভাবিকভাবে ফাহিম উচ্ছ্বসিত। ট্রফি ছোঁয়ার ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষেও গোল চাইছেন! অনুভূতি জানিয়ে বলেছেন, ‘দল জয় পেয়েছে। আমি দুই গোল করতে পেরেছি, ভালো লাগছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল আজ যে করেই হোক ম্যাচ জিতে ফাইনাল জায়গা করে নিতে হবে। সেটা আমরা পেরেছি। কোচের নির্দেশনায় সফল হয়েছি। অন্যরকম ভালো লাগছে।’ মোহামেডানকে হারিয়ে ট্রফি নিজেদের ঘরেই রাখতে চাইছেন ফাহিম, ‘ফাইনালে মোহামেডানকে হারাতে চাই আমরা। ট্রফি নিয়ে আনন্দণ্ডউৎসব করার ইচ্ছা। সেই ম্যাচে গোল পেলে নিজের কাছেই ভালো লাগবে। আশা করছি আমরা শিরোপা জিততে পারবো।’ আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসও সেমিফাইনাল জিতে খুশি। শেষ রাসেলের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স করেছেন শিষ্যরা, ফাইনালেও তেমনটাই চান তিনি, ‘লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলাম। এই ম্যাচে সবাই পারফর্ম করার চেষ্টা করেছে। তিনটি গোলও এসেছে। ছন্দে ফিরেছে দল। আমি খুশি। মোহামেডানের বিপক্ষেও এমন নৈপুণ্য দেখাতে হবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত