ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘চ্যালেঞ্জিং’ গ্রুপেও শেষ চারের স্বপ্ন

‘চ্যালেঞ্জিং’ গ্রুপেও শেষ চারের স্বপ্ন

২১ জুন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে শুরু হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৪তম আসরে অংশ নিচ্ছে আট দেশ। শ্রীলঙ্কা ছাড়া সার্কভুক্ত ছয় দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের সাথে অতিথি দল হিসেবে খেলবে মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন ও কুয়েত। আট দলের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে এগিয়ে লেবানন (৯৯)। ভারতের দিল্লিতে গতকাল অনুষ্ঠিত ড্র’য়ে লেবানিজদের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপ পড়েছে বাংলাদেশ (১৯২)। গ্রুপের বাকি দু’দল মালদ্বীপ (১৫৪) ও ভুটান (১৮৫)। ড্রয়ের পর গতকাল বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা গ্রুপকে ‘চ্যালেঞ্জিং’ বললেন বটে, তবে নিজের দলের সামর্থ্যে আস্থা রাখার কথাও স্প্যানিশ কোচ জানান আত্মবিশ্বাসের সুরে। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে আছে বিশ্বকাপ খেলা কুয়েত, নেপাল ও পাকিস্তান।

২২ জুন আসরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে লেবাননের। এরপর ২৫ জুন মালদ্বীপ ও ২৮ জুন ভুটানের বিপক্ষে খেলবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ২১ জুন কুয়েত-নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। একই দিন সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। প্রতিদিন দুটি ম্যাচ হবে বিকাল ৪টা ও রাত ৮টায়। দুটি সেমিফাইনাল ১ জুলাই ও ফাইনাল হবে ৪ জুলাই।

লেবাননের বিপক্ষে জয় ও হার দুই রকম অভিজ্ঞতাই আছে বাংলাদেশের। ২০১১ সালে লেবাননের বিপক্ষে ব্রাজিল বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বৈরুতে ৪-০ গোলে হেরে গেলেও ঢাকায় জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। এক যুগ আগের সেই ম্যাচকে অনুপ্রেরণা ধরে বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমকে কাবরেরা জানান নিজেদের গ্রুপে লেবাননকে পেয়ে ভড়কে যাচ্ছেন না তারা, ‘গ্রুপ নিয়ে আমার প্রথম অনুভূতি হচ্ছে, এটা চ্যালেঞ্জিং গ্রুপ। আমরাও প্রত্যাশা করছিলাম দুটি গ্রুপই কঠিন। ফিফার র‌্যাঙ্কিংয়ের সবচেয়ে উপরে থাকা লেবাননকে গ্রুপে পেয়েছি, কিন্তু ড্র নিয়ে আমাদের মনোভাব ইতিবাচক। বিশ্বাস করি, যদি নিজেদের পর্যায়ের পারফরম করতে পারি, সুযোগ থাকবে লক্ষ্য অর্জনের। আবারও বলছি, আমরা ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ’ যেতে চাই। প্রথমে সেমিফাইনালে উঠতে চাই। ড্র নিয়ে খুশি। দুটি গ্রুপই শক্তিশালী এবং চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু আমরা নিজেদের উপর বিশ্বাস ধরে রাখব। ইতিবাচক থাকব এবং লক্ষ্য অর্জনের আশা রাখব।’

২০০৩ সালে সবশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ ২০০৫ সালে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল, সেবার ভারতের কাছে হারে দল। ২০০৯ সালের পর এই প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনালেও উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যর্থতার বৃত্ত এবার ভাঙতে আশাবাদী কাবরেরা, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সব প্রতিপক্ষের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলতে পারি এবং নিজেদের সেরাটা পারফরম করে লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। নিজেদের সামর্থ্য আমরা জানি, সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই করার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। সেমি ফাইনাল জিততে দুটি জয় লাগবে কিনা এটা অনেক সময় পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। তবে শেষ চারে উঠতে হলে আমাদের যোগ্য দল হয়ে উঠতে হবে, ম্যাচ জিততে হবে।’আগামী ৪ জুনে ঢাকায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রস্তুতি শুরু করবেন কাবরেরা। এরপর কম্বোডিয়া গিয়ে ১৫ জুন একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে সেখান থেকে বেঙ্গালুরু যাবে দল। এরই মধ্যে ৩৫ জনের প্রাথমিক দলও দিয়েছেন কাবরেরা। ২৭ জনের চূড়ান্ত দল এখান থেকে বেছে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এলিটা কিংসলে ক্লাব ফুটবলে সেরা একাদশে অনিয়মিত। অবশ্য ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে তার ক্লাব সতীর্থ ফয়সাল আহমেদ ফাহিম জোড়া গোল করেন। শেষ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় আবাহনীও। ফেডারেশন কাপ ও লিগের খেলা মাঠে বসে দেখছেন কাবরেরা। ফাহিমের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কথা জানালেও কিংসলের ‘ম্যাচ টাইম’ নিয়ে বেশ হতাশ, ‘ফাহিম ভালো করেছে। দুই গোল করেছে, বিরতির আগে সে দারুণ খেলেছে। এটা আমার জন্য ভালো খবর। আমি জানি এলিটা পরিশ্রম করছে। কিন্তু সে ম্যাচ টাইম পাচ্ছে না বেশি। তো তার জন্য বিষয়গুলো বেশ কঠিন। আশা করি, বাকি ম্যাচগুলো সে খেলার জন্য আরও বেশি সময় পাবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত