হেম্পের এইচপি ইউনিট মিশন

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

বাংলাদেশের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের হেড কোচ হিসেবে ডেভিড হেম্পের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছিল আরো আগেই। এইচপি ইউনিটের হেড কোচের দায়িত্ব নিয়ে গতকাল কাজও শুরু করেছেন বারমুডার হয়ে ২২টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে হেম্পের, খেলেছেন ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। কোচ ও সহকারী কোচদের পাশাপাশি এবার ক্যাম্পে থাকছেন ক্রীড়া মনোবিদ ড. ডেভিড স্কট। ক্যাম্পে রাখা হয়েছে ২৫ ক্রিকেটার। গত বছর পাঁচজন বাড়িয়ে এটি ছিল ২৭ জনের। এবার কমল দুই জন।

মিরপুর স্টেডিয়ামে গতকাল থেকে হেম্পের অধীনেই শুরু হলো ২০২৩ সালে এইচপির প্রথম পর্যায়ের অনুশীলন। সকালে ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব শেষে দুপুর গড়াতে বৈঠকে বসেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হেম্প বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কীভাবে ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করব। কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুত হতে উইকেট ঠিক করতে পারি। আমরা চাই একসঙ্গে হয়ে চন্ডিকা বা মূল দল কী চাইছে, কী ধরনের খেলোয়াড় তাদের দরকার, কোন স্কিলে ঘাটতি আছে সেগুলোতে উন্নতি করা। এজন্যই এইচপির ক্রিকেটাররা এখানে। আমরা তাদের সাহস জোগাব নিজেদের সেরা অবস্থায় যেতে। এখান থেকে এমন খেলোয়াড় তুলে আনা সম্ভব যারা সারা দুনিয়ার সব কন্ডিশন ও দেশে খেলতে পারে।’

বারমুডার হয়ে খেলার পাশাপাশি হেম্পের ছিল লম্বা কাউন্টি অভিজ্ঞতা। কিন্তু পরে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তান নারী দলেরও; জানান, ক্রিকেটারদের পরের ধাপে তোলাই দায়িত্ব তার। দুই বছরের জন্য হেড কোচ হয়ে হেম্প এসেছেন। জানালেন, জাতীয় দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও হেম্পের কাজের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে। হেম্প বলেন, ‘এখানে অনেক সমন্বয়ের ব্যাপার আছে। এই গ্রুপের অনেকে আরো বড় জায়গায় খেলে। আট-নয়জন এখন ‘এ’ দলের হয়ে খেলছে। মূল পার্থক্য হচ্ছে বয়সে। আমরা তরুণ গ্রুপ পেয়েছি। তাদের দ্রুত এখানের চেয়ে উপরের দলগুলোতে দিতে পারব। জাতীয় দলে তরুণ ক্রিকেটারদের দিতে চাই।’

আয়ারল্যান্ড সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। এক বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দল ও আশপাশে রয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন শামিম হোসেন, পারভেজ হোসেন, রিশাদ হোসেনও। নিজেদের স্কিল ঝালাই ও ঘাটতির জায়গা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা এইচপি ইউনিটের ক্যাম্পে।

তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে ক্যাম্পের প্রথম ধাপ। মিরপুরে ফিজিক্যাল স্ক্রিনিং ও ফিটনেস পরীক্ষা ২৪ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। এরপর স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য রাজশাহী চলে যাবেন ক্রিকেটাররা। ওই পর্ব হবে ১ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত। বগুড়ায় প্রথম ধাপের শেষ পর্বের স্থায়িত্ব ৯ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কায় আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় এসিসি ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে এইচপি স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন।