এক যুগ পর ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল আবাহনী ও মোহামেডান। আগামী মঙ্গলবার কুমিল্লার স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের শিরোপার জন্য লড়াই করবে দেশের দুই প্রধান দল। সমর্থকপুষ্ট দুই দলের এমন আগুনে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে কিছু দাবি করেছেন মোহামেডনের সমর্থকরা।
সত্তর-আশির দশকে আবাহনী ও মোহামেডান ম্যাচ মানেই তুমুল উত্তেজনা, হাতাহাতি, মারামারি। এক যুগ পর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের ফাইনাল নিয়ে এরই মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে আলোচনা। সেই আলোচনায় মোহামেডান সমর্থকরাও যোগ হয়েছেন বেশ কিছু দাবি নিয়ে। গতকাল ক্লাব প্রাঙ্গণে মোহামেডান সমর্থকদের পাঁচটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে ‘মোহামেডান সমর্থক পরিবার’ ব্যানারে এক হয়েছে। এফএম রফিক উদ্দিন মুখপাত্র হিসেবে ৩০ মে ফাইনালে নিরপেক্ষ রেফারিংয়ের জন্য বিদেশি রেফারির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে অনেক ম্যাচে আমরা রেফারির বৈরী সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছি। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এত বছর পর মোহামেডান ফাইনালে উঠেছে, তাই রেফারিং যেন নিরপেক্ষ হয় সেই দাবি আমাদের।’ রেফারিংয়ের পাশাপাশি মোহামেডানের সমর্থকদের কাঠগড়ায় আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু। বাফুফের সদস্য হয়েও ক্লাবের ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়ানোর বিষয়টি মোহামেডানের সমর্থকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। বাফুফে কর্তাদের ক্লাবের পরিচয়ে ড্রাগআউটে দাঁড়ানো নিয়ে মাঝে মধ্যে প্রশ্ন উঠলেও বাফুফে এর স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি। তাই এবার সাদা কালো ক্লাব থেকে রুপুর ড্রাগ আউটে না দাঁড়ানোর একটি দাবিও উঠেছে। পরে মোহামেডানের সমর্থকরা বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে যান। লিখিত চিঠির পাশাপাশি মৌখিকভাবেও তারা তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে তারা খানিকটা আশ্বস্ত। রফিক উদ্দিনের কথায়, ‘সালাউদ্দিন ভাই আমাদের দাবিগুলো বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে পার্শ্ববর্তী দেশের রেফারিদের খোঁজ করতে বলেছেন। পাঁচ দিন পরই ফাইনাল, বিদেশি রেফারি আনা কষ্টকর। তাই তিনি রেফারিজ বিভাগের প্রধানকে ফাইনালে নিরপেক্ষ রেফারিং নিয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন।’
