ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বকাপ দল গঠন

ফিনিশার ঘাটতি দেখছেন তামিম

ফিনিশার ঘাটতি দেখছেন তামিম

ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ড সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জিতে শেষ করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে শেষের দিকে কিছুটা সংগ্রাম করতে দেখা গেছে এই সিরিজেও। শেষ ম্যাচে ১৩ ওভার বাকি থাকতেই দুইশ’ ছোঁয়া বাংলাদেশ দলীয় সংগ্রহ তিনশ’ ছুঁতে পারেনি। যেটার আক্ষেপ ঝরেছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠে। সেইসঙ্গে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ফিনিশিং দুর্বলতার বিষয়ও। ২০২৩ বিশ্বকাপের দল গঠনের পথে এখন পর্যন্ত এ জায়গাটিতেই ঘাটতি দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

চেমসফোর্ডে সিরিজ জয় শেষে তামিম বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ব্যাটিংয়ে আরো ভালো করতে পারি। বিশেষ করে আজকের (রোববার) মতো পরিস্থিতিতে। প্রথম ২৫ ওভারে আমরাই বলতে গেলে দাপট দেখিয়েছি। ওভারপ্রতি ছয়ের মতো করে রান তুলছিলাম। কিন্তু শেষটা ভালো করতে পারিনি। যে অবস্থায় ছিলাম, ৩০০ থেকে ৩১০ রান করা উচিত ছিল। এই একটা জায়গায় ভালো করতে পারি।’

যেই জায়গাটি নিয়ে তামিমের আক্ষেপ, সেটি মূলত ৬-৭ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যানের কাজ, যিনি ম্যাচটা শেষ করে আসবেন। সামনেই বেশ কিছু বড় টুর্নামেন্ট থাকার কারণে এ চিন্তা আরো বাড়িয়েছে। আগামী বিশ্বকাপে ম্যাচ ফিনিশার হিসেবে কাকে দেখা যাবে, নতুন করে এ পুরোনো প্রশ্নটাও জেগেছে।

ফিনিশার হিসেবে মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফউদ্দিন, ইয়াসির আলীসহ বেশ কয়েকজনকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপের দলে এর মধ্যে কে থাকবেন, এখনো চূড়ান্ত করা যায়নি। ম্যাচণ্ডপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ নিয়ে তামিম জানান, ‘বিশ্বকাপের এখনো এক দুটি জায়গা নিয়ে ভাবছি আমরা। আফিফ আছে, ইয়াসির আছে, রিয়াদ ভাই আছেন। যে সবচেয়ে মানানসই হবে, তাকে বিবেচনা করা হবে। অবশ্যই রিয়াদ ভাইয়ের অভিজ্ঞতা বড় ব্যাপার। আফিফের এমন কিছু আছে, যা খুব বেশি বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে নেই। ওর ব্যাটিং আমি উপভোগ করি। ইয়াসিরের ক্ষেত্রেও একই কথা। আমি এখনো কিছু ঠিক করে রাখিনি। এশিয়া কাপ এলে বুঝে নিতে পারবেন, বিশ্বকাপের দল কেমন হবে।’ তামিম বলেন, ‘আমার মনে হয় দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন থেকে আমাদের কমানো দরকার। কারণ, বেশিরভাগ ম্যাচ যেই ১৫টা ছেলে বিশ্বকাপে থাকবে, তাদের দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে ১২-১৫ পর্যন্ত যারা, তাদেরও এক বা দুই ম্যাচ খেলানো। সবাইকে সমান ম্যাচ দেয়া যাবে না। কেউ ৭ বা ৮টা ম্যাচ পাবে, কেউ ৩ ম্যাচ পাবে।’

আইরিশদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ওপেনিংয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের চোটে অভিষেক করানো হয় রনি তালুকদারকে। তাকে ওপেন করিয়ে চারে খেলানো হয় লিটনকে। তামিম জানালেন ব্যাকআপ ওপেনার তৈরি রাখার ভাবনায় এই পথে হেঁটেছেন তারা, ‘বেশিরভাগ সময় আমি আর লিটনই ওপেন করি। শেষ ম্যাচে রনি ওপেন করেছে, যদিও রান পায়নি। একটা মানুষকে এক ম্যাচ সুযোগ দিয়ে বদলে ফেলা কতটা যুক্তিযুক্ত, জানি না। সব আমার হাতেও নেই। এখানে সীমাবদ্ধতা আছে। বিশ্বকাপ দল নিয়ে ভাবার জায়গা এটা একটা। আর ৬-৭ নম্বরেও খেলোয়াড় দেখছি।’ তামিমের জন্য ইংল্যান্ড বেশ স্মৃতিবিজড়িত একটি দেশ। ২০১০ সালে প্রথমবার ইংল্যান্ড সফরে গিয়েই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন টাইগার এই ওপেনার। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে তার দুর্দান্ত সেই সেঞ্চুরি এখনও চোখে লেগে আছে সমর্থকদের। এরপর একাধিকবার ইংল্যান্ড সফর করেছেন তিনি। নিজের সেই ভালো লাগার ইংল্যান্ডের মাটিতে হয়তো আর খেলা হবে না তামিমের। কেননা আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্লান অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত করা ভবিষ্যৎ সূচির পরিকল্পনায় ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সফর নেই, ম্যাচও নেই। ততদিন পর্যন্ত হয়তো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে থাকবেন না তামিম! তাই ইংল্যান্ডের মাটিতে তামিমের খেলার সম্ভাবনাও কম। তামিম বলেন, ‘সিরিজ খেলার আগেই চিন্তা করছিলাম আমাদের শিডিউলে আর ৩-৪ বছরে খেলা নেই। আমি চেষ্টা করছিলাম যে, এখানে বিশেষ কিছু করতে কারণ যখন প্রথম এখানে আসি তখন আমি এখানে বিশেষ কিছুই করি (লর্ডসে সেঞ্চুরি)। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পারিনি। কিছু রান করেছি এটা ভালো ছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত