যে ভাবনায় মিরপুরেও পাঁচ পেসার

ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে নামলে এক ঝাক স্পিনারদের উপর ভর করে বাংলাদেশ। অনেক সময় পেসার ছাড়াও নামতে দেখা গেছে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘটতে যাচ্ছে পুরো বিপরীত ঘটনা। পুরো স্কোয়াডেই যে স্পিনার স্রেফ দুজন, যেখানে পেসার রাখা হয়েছে পাঁচজন। গত রোববার ঘোষিত দলে বড় চমক তরুণ ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপু আর পেসার মুশফিক হাসানের দলে আসা। এর বাইরে বড় আলোচনার খোরাক তৈরি করেছে পেস-স্পিনের ভারসাম্য তরুণ মুশফিকসহ পেস আক্রমণে আছেন তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম। বিশেষজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর মেহেদী হাসান মিরাজ। চোটের কারণে সাকিব আল হাসান না থাকায় এক্ষেত্রে একাদশে পরিপূর্ণ ভারসাম্য আসছে না। অর্থাৎ দুজন স্পিনারের বেশি খেলানোর কোন অবস্থাই নেই বাংলাদেশের। ধারণা করা যেতে পারে আফগানিস্তান যেহেতু স্পিনে শক্তিশালী তাদের বিপক্ষে তাই পেসবান্ধব উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ।

তবে উইকেট নিয়ে রহস্য রাখতে প্রধান নির্বাচক জানালেন গরমের কারণেই নাকি এই ব্যবস্থা, ‘এটা খুব চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হবে কারণ আমরা প্রচণ্ড গরমে খেলব, উইকেটও চ্যালেঞ্জিং হবে।’ মিনহাজুলের মতে গরমে চোট শঙ্কা আছে, সেজন্য বাড়তি পেসার নিয়ে রেখেছেন তারা।

২০১৯ সালে আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র দেখার স্মৃতি ভীষণ তেতো বাংলাদেশের। সেবার চট্টগ্রামে স্পিন স্বর্গ উইকেট বানিয়ে চার স্পিনার নিয়ে নেমেছিল সাকিব আল হাসানের দল। একাদশে ছিল না কোনো পেসার। বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হলেও আফগানদের কাছে সেই টেস্টে হেরে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে বাংলাদেশ। মূলত সেই অভিজ্ঞতা থেকে সতর্ক হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আফগানদের থেকে নিজেদের পেস আক্রমণ এগিয়ে রাখছেন নির্বাচকরা। রশিদ খানদের সঙ্গে স্পিনে এগিয়ে থাকার সুযোগ আসলে নেই।

টেস্ট জিতে হারের বদলা নিতে মরিয়া বাংলাদেশ তাই ভর করছে পেসারদের উপর, মিনহাজুলের কথাতেও সেই আভাস, ‘আমাদের পেস আক্রমণ দারুণ করছে। পেস আক্রমণের শক্তি নিয়ে আমরা খুশি। আশা করছি সবাই খেলবে।’

তবে গতকাল অনুশীলনের এক পর্যায়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে বল তুলে দেন স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ। বেশ কিছুক্ষণ নেটে বোলিং করেন শান্ত। তাকে মোকাবেলা করছিলেন তামিম ইকবাল। শান্তর বোলিংয়ের ওপর কড়া নজর রাখছিলেন হেরাথ, প্রতিটি ডেলিভারির পর পরামর্শ দিচ্ছিলেন, কখনো হাতের পজিশন ঠিক করে দিচ্ছিলেন। তাতে স্পষ্ট, শান্তকে পার্টটাইম স্পিনার হিসেবে ব্যবহার করবে দল। কিছুদিন আগে হেরাথ বলেছিলেন, শান্ত- তাওহীদ হৃদয়ের মতো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা বল হাতে অবদান রাখতে পারা, দলের জন্য সুখবর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সাকিব নেই। এ কারণেই কি ‘বোলার’ শান্তকে দেখে নেয়া হচ্ছে?