ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবশেষে ম্যানসিটির ট্রেবল

অবশেষে ম্যানসিটির ট্রেবল

অবশেষে ম্যান সিটির নীলাকাশে সেই শুভদিন আসল। একে একে সব বাধা পেরোনো সিটিজেনদের জন্য মৌসুমের শেষ পরীক্ষা ছিল ইন্টার মিলান। ইস্তাম্বুলের আতার্তুক স্টেডিয়ামে গত তিন বছরের মতো রক্ষণশীল ফাইনাল হলেও ইতালিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে পাল্লা দিলে লড়াই করেই জয়ে তুলেছে পেপ গার্দিওলার দল। শনিবার রাতে ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে ম্যান সিটি, একমাত্র গোলদাতা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি।

ফাইনাল ঠিক ঘটনাবহুল না হলেও নিঃসন্দেহে এই রাত সিটির ১৪৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় রাত। ইস্তাম্বুলে ক্লাব ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার দেখা পেয়েছে সিটি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (১৯৯৯) পর একমাত্র ইংলিশ দল হিসেবে ট্রেবল সম্পন্ন করেছে পেপ গার্দিওলার দল। এক কথায়, এই রাতের মধ্য দিয়ে অমরত্ব লাভ করেছে সিটির বর্তমান দল।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে রসিকতা করে গার্দিওলা বলেন, ‘এখন থেকে আপনারা আমাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে প্রশ্ন করা বাদ দিতে পারেন!’ মাত্র কিছু সময় আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে ট্রেবল জয় নিশ্চিত করেছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তাই সিটি বস গার্দিওলার এই খোঁচায় রাগ হয়নি সাংবাদিকদের। বরং সংবাদ সম্মেলনেও গার্দিওলা সবার মন জিতে নিয়েছেন। পুরো ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ১৭টি ট্রফি জিতলেন গার্দিওলা। চলতি মৌসুমে তার দল প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জিতেছে। তাতে প্রথম কোচ হিসেবে তিনি দুটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে ‘ট্রেবল’ জয়ের কীর্তি গড়লেন। ২০০৮-০৯ মৌসুমে তার কোচিংয়েই ট্রেবল জিতেছিল বার্সেলোনা। তবু ম্যান সিটিকে এখনই ইউরোপের প্রতিষ্ঠিত ক্লাবগুলোর মধ্যে রাখতে চান না গার্দিওলা, বলেছেন, ‘এখন আমাদের এই সাফল্য আছে, লোকে বলতে পারবে যে ম্যান সিটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি আছে। তবে এটুকুই যথেষ্ট নয়। প্রথম ট্রফি জিতেই হারিয়ে যেতে চাই না। আগামী কয়েক বছরে আরও বেশি ঘাম ঝরাতে হবে। পরের মৌসুমেও এই জায়গায় থাকতে চাই। অনেক দলই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার এক-দুই মৌসুম পর আড়ালে চলে যায়। আমাদের এটা এড়াতে হবে।’

আর ম্যাচ শেষে ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাগি স্বীকার করেছেন দলের হার ছিল দুর্ভাগ্যজনক, ‘আমাদের অনুশোচনা আছে। কারণ খেলাধুলায় পরাজয় হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ বিষয়। কিন্তু ছেলেদের অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা দারুণ হতাশ। কিন্তু যেভাবে তারা খেলেছে তাতে সবার গর্বিত হওয়া উচিত। এই হার আমাদের প্রাপ্য ছিল না। বিশ্বের শীর্ষ একটি ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছি। ইন্টারও দারুণ এক ফাইনাল খেলেছে।’ ২০১০ সালে হোসে মরিনহোর অধীনে সর্বশেষ শিরোপা জয়ের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেছিল ইন্টার মিলান। যদিও ইতালিয়ান দলটি ফাইনালের পথে মোটেও ফেবারিট ছিল না। ফাইনালে অবশ্য সিটির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছে ইন্টার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত