ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৭৮৬ দিন পর পেলেন সেঞ্চুরি

দুঃসময় পেরিয়ে স্বরূপে মুমিনুল

দুঃসময় পেরিয়ে স্বরূপে মুমিনুল

ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে অভিষেকের পর থেকে মুমিনুল হক যেভাবে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন, তাতে তাকে তুলনা করা হতো কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডমান, লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারদের সঙ্গে। গড়ে তো অবশ্যই, বাংলাদেশিদের মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও বনে যান তিনি। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখেছেন টেস্ট স্পেশালিস্টেও তকমা পাওয়া মুমিনুল। গত কয়েক বছর ধরে যেন হাসছিল না তার ব্যাট। টানা অফ ফর্মের কারণে টেস্ট দলের নেতৃত্ব হারানোর পাশাপাশি দল থেকেও জায়গা হারাতে বসেছিলেন। অবশেষে দুঃসময় দূরে ঠেলে দিয়ে সুসময়ের দেখা পেলেন মুমিনুল। প্রায় দুই বছর পর দেখা পেলেন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির। শেরে বাংলায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ১৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাসের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি। যা টেস্টে ৭৮৬ দিন পর পাওয়া বহুল প্রার্থিত সেঞ্চুরি। সবশেষ টেস্টে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২১ সালের এপ্রিলে। এরপর ২ বছর ১ মাস ২৬ দিন তার ব্যাট থেকে আসেনি কোনো সেঞ্চুরি। দিনের হিসেবে ৭৮৬ দিন পর ঘরের মাঠে গতকাল শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১২৪ বল খেলে ১২টি চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান মুমিনুল। তার আগে ৭৬ বলে ৭ চারে করেছিলেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ১৪৫ বল খেলে ১২টি চার ও ১ ছক্কায় ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় মুমিনুল হকের। এরপর তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে থাকেন। তার প্রথম ১৪ টেস্টের ১৩টিতেই কোনো না কোনো ইনিংসে ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। ৪৩ টেস্টেই তিনি করে ফেলেছিলেন ১১ সেঞ্চুরি। গড় ছিল ঈর্শনীয় ৬১.৮৫। এরপর তার পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী হতে থাকে। এক সময় অধিনায়কত্ব হারান। দল থেকেও বাদ পড়েন। উত্থান-পতন দেখে আবার আসেন জাতীয় দলে। ৪৩ টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১১ সেঞ্চুরি করে ফেলা মুমিনুল ৫৭তম টেস্টে এসে পেলেন দ্বাদশ সেঞ্চুরির দেখা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত