নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপ ফাইনাল

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

পাঁচ বছর আগে এশিয়া কাপ জিতে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম টুর্নামেন্ট ট্রফি এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আরো একটি বৈশ্বিক ট্রফি জয়ের হাতছানি ছিল বাংলার বাঘিনিদের সামনে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে রোমাঞ্চকর জয় পেয়ে নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল লাল সবুজ দল। তবে শিরোপা মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পুড়তে হয়েছে লতা মন্ডলের দলকে। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। বুধবার হংকং এর মিশন রোড গ্রাউন্ডে ভারত আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে। জবাবে ১৯.২ ওভারে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হন বাংলাদেশের মেয়েরা। ৩১ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দেন। রান তাড়া করতে নেমে ভারতের স্পিনারদেও তোপের মুখে তারা দিশাহারা হয়ে যান। নিয়মিত বিরতিতে ফিরতে থাকেন সাজঘরে। দলীয় সংগ্রহ ৫০ পেরুতে না পেরুতেই বাংলাদেশ হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সঙ্গে প্রয়োজনীয় রান রেট থেকে পিছিয়ে যেতে থাকে ক্রমেই। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় লতা মন্ডল-মুর্শিদারা। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাহিদা আক্তার সর্বোচ্চ ১৭* রান করেন। এছাড়া শবনম মোস্তারি ১৬ ও সাথী রাণী করেন ১৩ রান। বাকিদেও কেউ ২ অঙ্কেও কোটা ছুঁতে পারেনি। অতিরিক্ত খাত থেকে ১৬ রান না এলে বাংলাদেশের স্কোর আরো হতশ্রী হতে পারত। বল হাতে বাংলাদেশের ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন ভারতের শ্রেয়াংকা পাতিল। তিনি ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। আর মান্নাত কাশ্যাপ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ২৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন কণিকা আহুজা। তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা শক্তিশালী ভারতের মেয়েদের শুরুটা ভালো হলেও বাংলাদেশের মেয়েরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে তাদের সংগ্রহ বড় হতে দেয়নি। ১৪ ওভারেই ৯১ রান তুলে ফেলা ভারত শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ব্যাট হাতে ভারতের চারজন ব্যাটার দুই অঙ্কেও কোটায় রান করেন। তার মধ্যে দিনেশ বৃন্দা ২৯ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। কানিজা আহুজা ২৩ বলে ৪ চারে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ইউ ছেত্রী ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ এবং অধিনায়ক শ্বেতা সেহরাওয়াত ২ চারে করেন ১৩ রান। তাতে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করতে পারে তারা। বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন নাহিদা আক্তার। তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া সুলতানা খাতুন ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন সানজিদা আক্তার মেঘলা ও রাবেয়া খাতুন। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩০ রান ও বল হাতে ২৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ফাইনালে ম্যাচসেরা হন ভারতের কণিকা আহুজা। আর ৯ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হন শ্রেয়াঙ্কা পাতিল। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের মেয়েদের হারিয়ে ফাইনালে আসে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্ত হওয়ায় ভারত টিকিট পায় ফাইনালের।