ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সেনেগালে বিধ্বস্ত ব্রাজিল

সেনেগালে বিধ্বস্ত ব্রাজিল

কাতার বিশ্বকাপ থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের। হেক্সা মিশন নিয়ে মরুর বুকে পা রাখলেও ফিরতে হয় খালি হাতে। এরপর মরক্কোর কাছে প্রীতি ম্যাচে লজ্জার হার দেখতে হয়েছিল সেলেসাওদের। তবে গিনির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জয়ে কিছুটা স্বস্তি ফেরে। কিন্তু সেই স্বস্তি স্থায়ী হলো না। আফ্রিকান দেশ সেনেগালের কাছে প্রীতি ম্যাচে ৪-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে হলুদ জার্সিধারীরা। গত মঙ্গলবার রাতে পর্তুগালের লিসবনে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। এদিন প্রথমে এগিয়েগেলেও এরপর রক্ষণের ভুল এবং আক্রমণভাগের সুযোগ মিসের মহড়ায় ব্রাজিলকে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে। ছন্দময় ফুটবলে ম্যাচের ১১ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। বামপ্রান্ত থেকে ক্রস দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। রিয়াল মাদ্রিদ তারকার দারুণ সেই ক্রসথেকে হেড করে জাল কাঁপিয়েছেন লুকাস পাকেতা। ২৫ মিনিটে সমতা ফেরায় সেনেগালও। জ্যাকবের কাছ থেকে আসা ক্রস ঠিকমতো সামলাতে পারেনি ব্রাজিলের রক্ষণ। সুযোগ পেয়ে গোল মুখের সামনে থেকে দারুণ ভলিতে ব্রাজিলকে স্তব্ধ করে দেন দিয়ালো। যা রুখে দেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি ব্রাজিল গোলকিপার এদেরসন। অবশ্য সেনেগালের সমতা ফেরানোর আগে পেনাল্টি পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু ভার রিভিউ দেখে রেফারি গুস্তাভো কোরেইয়া বাতিল করে দেন তা। এর দুই মিনিট আগে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন রিচার্লিসন। বিরতির পর ফিরতেই তালগোল পাকিয়ে ফেলে সেলেসাওরা। ৫০ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। মানের ক্রস খুঁজে নেয় দিয়ালোকে। যার হেড করা বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজের জালে পাঠান মার্কুইনহোস। ৫৫ মিনিটে স্কোর ৩-১ কওে দেন মানে। শুরুতে গোল মুখে এগিয়ে আসা গুয়েকে রুখে দেন এদেরসন। ফিরতি বল পড়ে দিয়ালোর কাছে। তিনি আবার বল দেন মানেকে। সুযোগ পেয়ে কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান বায়ার্ন মিউনিখ তারকা। অবশ্য ৫৮ মিনিটে ব্যবধান ৩-২ এ নামিয়ে এনে নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন মার্কুইনহোস। কর্নার থেকে পাওয়া বুক দিয়ে নামিয়ে শুরুতে নিয়ন্ত্রণে নেন ব্রাজিলের এই সেন্টার ব্যাক। তার পর দারুণ শটে ক্রসবারের নিচ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন। তাতে অবশ্য হার এড়াতে পারেনি ব্রাজিল। শেষ দিকে ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দুই শিবিরে। হলুদ কার্ড দেখেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। যোগ করা সময়ে বক্সের মধ্যে সেনেগালের খেলোয়াড়কে ফেলে দেন এদেরসন। তাতে পেনাল্টি পায় সেনেগাল। ৯০+৭ মিনিটে স্পট কিক থেকে জোড়া গোল আদায় করে নেন সাদিও মানে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত