ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিপিএল’র পরবর্তী আসরের দিনক্ষণ নিয়ে দোটানায় বিসিবি

বিপিএল’র পরবর্তী আসরের দিনক্ষণ নিয়ে দোটানায় বিসিবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর শেষ হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। এবার পরবর্তী আসর আয়োজনের প্রস্তুতির তোড়জোর শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ এবং নিলাম নিয়ে কিছুটা দোটানায় পড়েছে বিসিবি। জানা গেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নির্বাচনের জন্য খুব বেশি পেছাবে না বিপিএল। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভার্নিং বোর্ডের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তিনি বিপিএল শুরুর বিষয় এবং প্লেয়ার্স ড্রাফট নিয়ে কথা বলেছেন। মল্লিক বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সময় এখনও নির্ধারিত হয়নি। আমাদের বিপিএলটা কবে হতে পারে এ নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে জাতীয় নির্বাচনের পরপরই বিপিএলটা শুরু করতে পারি। তিনি জানান, ‘বিপিএলে দেশের প্রায় সব নিরাপত্তা বাহিনী, সিকিউরিটি এজেন্সি ইনভলব থাকে। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে মিডিয়ায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সেক্ষেত্রে হয়তো জানুয়ারির ১০ তারিখ বা উপযুক্ত দিন দেখে শুরু করবো। আমাদেও যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হবে। কারণ এর মধ্যে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে। আর প্লেয়ার্স ড্রাফটটা আমরা চেষ্টা করবো চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে করতে।’ বিপিএল নভেম্বরে বা ডিসেম্বরে হলে ভালো হতো দাবি করে মল্লিক বলেন, ‘বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। গতবারের দলগুলোকে আমরা সেপ্টেম্বওে প্লেয়ার্স ড্রাফট করার কথা জানিয়ে দিয়েছি। আমরা খেলা শুরু করতে চাই জানুয়ারি থেকে। যদি নির্বাচন তার আগে হয়, তাহলে তখনই করবো। ভালো হতো নভেম্বর-ডিসেম্বর দেওয়া, কিন্তু তখন জাতীয় দলের খেলা আছে।’

বিপিএলে আগের দলগুলো এবারও থাকবে কি না- এমন প্রশ্নে এই বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আর্থিক নিয়ম এবং টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মানতে হবে। আমাদের কাছে দুই তিনটা প্রস্তাব আছে। যদি কেউ চালিয়ে নিতে চায়, আমরা বিকল্প নেব।’ নতুন দল নিয়ে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া আছে। আগের কেউ যদি কন্টিনিউ করতে না চায় তাহলে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি। আমাদের যদি সøট বাড়ে তাহলে একটা টিম বাড়াতেও পারি।’ শেষ দুই বিপিএলে ডিআরএস নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে। গ্রপ ম্যাচে ডিআরএস সরবরাহ করতে পারেনি আয়োজকরা। এবার শুরু থেকেই থাকবে ডিআরিএস, ‘গতবার ডিআরএস আনতে পারিনি গ্রুপ ম্যাচে। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচে ছিল। এবার ডিআরএস কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কোম্পানি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এদের কাছে নেই। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। চার বছরের জন্য তাদেরকে পাচ্ছি।’ গত কয়েক আসরের মতো এবারও ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে হবে বিপিএল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত