সহজ ম্যাচ দেখছেন না তামিম

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের ৬ ভেন্যুতে ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দুটি করে ম্যাচ আছে ধর্মশালা, পুনে ও কলকাতায়। এছাড়া চেন্নাই, মুম্বাই ও দিল্লিতে অপর তিন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে। ১২ নভেম্বর পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলবে লিগপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ। এছাড়া প্রতিযোগিতা শুরুর আগে গৌহাটি বা তিরুবনন্তপুরমে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন এই শহর থেকে ওই শহরে প্রচুর ভ্রমণ করতে হবে বাংলাদেশের। অবশ্য সব দলের জন্যই প্রায় একই সূচি করেছে আয়োজকরা।

অনেক অপেক্ষা ও আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ২০২৩ বিশ্বকাপের সূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে আইসিসি। মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলেন সূচি ঘোষণা করা হয়। নিজেদের সূচি ও টুর্নামেন্ট নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তামিম বলেছেন, ‘এটা সবচেয়ে বড় আয়োজন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সঙ্গে কোন কিছুর তুলনা চলে না। কারণ, সাদা বলের এই প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত আপনার ম্যাচ সচেতনতা ও ধৈর্য্যর পরীক্ষা নেবে। যে ছকে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে তাতে আলগা মনোভাব দেখানোর সুযোগ নেই। প্রতিটি দল শক্তিশালী এবং সহজ বলতে কোনো ম্যাচ নেই। ভারতে খেলা সব সময়ই আনন্দের। মাঠের উন্মাদনা, দুর্দান্ত স্টেডিয়াম এবং জ্ঞানী ক্রিকেট ভক্তরা অভিজ্ঞতাকে পরিপূর্ণ করে তোলে। আমরা সব সময়ই সেখানে খেলে ভালো সমর্থন পেয়ে থাকি।’- যোগ করেন তামিম।

২০১৯ বিশ্বকাপে বড় স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এরপর জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি, নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর সুযোগ হারানোর সঙ্গে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে পেরে না উঠায় সেমিফাইনাল খেলা হয়নি বাংলাদেশের।

চার বছরে দেশের ক্রিকেটের মান বেড়েছে। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে তিনে থেকে বাংলাদেশ শেষ করেছে। সরাসরি খেলতে পারছে বিশ্বকাপ। এবার প্রস্তুতি আরও জমাট এবং অভিজ্ঞতা আগে থেকে বেড়েছে। নিজেদের সর্বোচ্চ সাফল্য পাওয়ার বড় সুযোগ দেখছেন তামিম, ‘যে দলটাকে নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই তাদের নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। ওয়াডেতে আমরা খুব ভালো পারফর্ম করে আসছি এবং বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইংয়ে আমরা শুরুর দলগুলোর পাশেই আছি। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্েযর দারুণ মিশেল রয়েছে এবং কন্ডিশন অনেকটাই পরিচিত।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিযান। আগামী ৭ অক্টোবর ম্যাচটি হবে ধর্মশালায়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচটিও খেলবে হিমাচলের এই ভেন্যুতে। ১০ অক্টোবর সেই ম্যাচে তামিম ইকবালদের প্রতিপক্ষ বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ৬টি ভেন্যুতে হবে বাংলাদেশের ৯ ম্যাচ, দুটি করে ম্যাচ আছে ধর্মশালা, পুনে ও কলকাতায়। বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচ খেলবে ১৪ অক্টোবর চেন্নাইতে। যেখানে প্রতিপক্ষ আগের আসরের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের চতুর্থ ম্যাচ আয়োজক ভারতের বিপক্ষে। ১৯ অক্টোবর পুনেতে হবে ম্যাচটি। ২৪ অক্টোবর মুম্বাইতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কলকাতায় কোয়ালিফায়ারের এক নম্বর দলের সঙ্গে বাংলাদেশ খেলবে ২৮ অক্টোবর। একই ভেন্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আরেকটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ ৩১ অক্টোবর। ২ নম্বর কোয়ালিফায়ার দলের বিপক্ষে দিল্লিতে ৬ নভেম্বর বাংলাদেশের আরেকটি ম্যাচ। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ১২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, পুনেতে। ওই দিনই ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে গ্রুপ পর্বের খেলা। ৪৬ দিনের এই মেগা ইভেন্ট হবে ১০টি ভেন্যুতে। ১০ দল প্রত্যেকে একে অন্যের সঙ্গে লড়বে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে। শীর্ষ চারটি দল নিয়ে সেমিফাইনাল হবে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর, ভেন্যু মুম্বাই ও কলকাতা। ফাইনাল ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে।