ক্রিকেট বিশ্বের নতুন ‘চোকার্স’ ভারত?

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

গত বছরের বাংলাদেশ সফরে একটি মুহূর্তে লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি এবং রাহুল দ্রাবিড়।

‘চোকার্স’ বদনামটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে সেঁটে গেছে। পুরো টুর্নামেন্ট ভালো খেলে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়, এটাই প্রোটিয়াদের নিয়তি। এবার কী তাদের বদনামের ভাগ পেতে যাচ্ছে ক্রিকেটের শক্তিধর দেশ ভারত? যারা গত ১০ বছর ধরে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। তাদের ক্রিকেট আবর্তিত হয় আইপিএলকে ঘিরে। এর প্রভাবে সদ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও তারা রানার্সআপ হয়। তাই ভারতের নামের পাশে ‘চোকার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন সমালোচকরা।

২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধীনে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর থেকে তারা আর কোনো শিরোপা জিততে পারেনি। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও হেরে যায়। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে। পরের বছর ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালের বেশি যেতে পারেনি। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ভারত।

ব্যর্থতার এখানেই শেষ নয়। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয় ভারত। ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও সেই নিউজিল্যান্ডের কাছেই আত্মসমর্পণ করে। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিতে থামে ভারতের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। চলতি মাসে দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ে তারা আরো একটি আইসিসি ট্রফি জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করে। এসব কারণেই ভারতকে এখন ‘চোকার্স’ বলছেন অনেকে। তবে ভারতকে এখনই ‘চোকার্স’ বলতে রাজি নন দলটির সাবেক কোচ এবং ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। ভারতের দ্য উইক পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, যে দুটি দল খেলছিল (ভারত-অস্ট্রেলিয়া) তারা তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ পেয়েছিল। এমন নয় আমরা (বিশ্বকাপে) বিধ্বস্ত হয়েছি। আমরা সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলেছি। আমরা জিততে পারিনি, কারণ আপনি যখন বড় কিছু জিততে চান, তখন আপনার দলীয় প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে।