সেপ্টেম্বরে চীনের হাংজুতে বসবে এশিয়ান গেমসের আসর। গেমসের হকিকে সামনে রেখে জাতীয় দলের জন্য আনা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ। গত শনিবার মধ্যরাতে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির সাবেক প্রধান কোচ ইয়াং কু কিম। আজ জিমিদের প্রধান প্রশিক্ষকের দায়িত্ব বুঝে নেবেন তিনি। এশিয়ান গেমসের জন্য বাংলাদেশ দল ইতোমধ্যে ক্যাম্প শুরু করেছে। ৩১ জন খেলোয়াড় ঈদের ছুটি শেষে গতকাল রোববার রাতে রিপোর্ট করার কথা। আজ জিমিরা বিদেশি কোচের অধীনে অনুশীলন শুরু করবেন। কোরিয়ান কোচ বাংলাদেশে একেবারে নতুন নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি হকিতে তিনি রুপায়ন সিটি কুমিল্লার কোচ ছিলেন। রুপায়ন সিটির ম্যানেজার এহসান রানাই কোরিয়ান কোচকে বাংলাদেশ দলের প্রধান প্রশিক্ষক হওয়ার ব্যাপারে যোগাযোগ করেছেন। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও জাতীয় দলের ম্যানেজার মাহবুবুল এহসান রানা কোরিয়ান কোচ সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি এশিয়ান গেমস পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে কয়েক দিনের মধ্যে।’ বিমানবন্দরে কোরিয়ান কোচকে গ্রহণ করে আরামবাগে এক ফ্ল্যাটে উঠিয়েছেন রানা। কোরিয়ান কোচের পেছনে হকি ফেডারেশনের প্রতি মাসে ব্যয় হবে ১৪ থেকে ১৫ হাজার ডলার। হকিতে এত ব্যয়বহুল কোচ বাংলাদেশ কখনো আনেনি। এই কোচের পেছনে এত ব্যয়ের কারণ সম্পর্কে রানা বলেন, ‘স্বল্প মেয়াদে চুক্তি অনেকে করতে চান না। তিনি বেশ হাইপ্রোফাইল কোচ। এজন্য তাকে বড় অঙ্কের সম্মানী দিতে হচ্ছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও অলিম্পিক হকি ফেডারেশনকে সহায়তা করবে।’
