ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমার হৃদয়ের একটি টুকরো বাংলাদেশে রেখে যাচ্ছি : মার্টিনেজ

আমার হৃদয়ের একটি টুকরো বাংলাদেশে রেখে যাচ্ছি : মার্টিনেজ

বিশ্ব ফুটবল মানচিত্রে বাংলাদেশ তেমন পরিচিত না হলেও এ দেশে ফুটবলে জনপ্রিয়তার কমতি নেই। তাই বিশ্বকাপ এলেই ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা চরমে পৌঁছায় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা অজানা ছিল না বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। কলকাতা সফরের সব ঠিকঠাক হয়েই ছিল মেসির এই জাতীয় দল সতীর্থের। কিন্তু বাংলাদেশি ভক্তদের টানে এ দেশেও আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। ভক্তদের ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন মার্টিনেজ। মাত্র ১১ ঘণ্টার জন্য বাংলাদেশে এলেও তেমন জোয়ার দেখতে পারেননি তিনি। কড়া নিরাপত্তা ও খুবই সীমিত ছিল তার কর্মসূচি। তবে তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ যারা পেয়েছিল, তারা ঠিকই মন ভরিয়ে দিয়েছে মার্টিনেজকে। তাইতো আরো একবার বাংলাদেশে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়ে গেছেন। ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকায় নামেন মার্টিনেজ। এরপর হোটেল ওয়েস্টিনে গিয়ে ৩ ঘণ্টা বিশ্রাম নেন। এরপর বেরিয়ে তার সফর স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের অফিসে ঘণ্টাখানেক সময় দেন। সেখানে নির্বাচিত অতিথিরা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মার্টিনেজকে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠেন। সেই অনুষ্ঠান শেষ করে কোভিড পরীক্ষা করে মার্টিনেজ যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে। এরপর ছুটে যান বিমানবন্দরে। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে গিয়েছেন কলকাতায়। তবে যাওয়ার আগে ইন্সটাগ্রাম পোস্টে বাংলাদেশকে নিয়ে তার ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘বাংলাদেশে আমার সফর অতুলনীয় ছিল, যা নেক্সট ভেঞ্চারস এবং ফান্ডেড নেক্সট’র তত্ত্বাবধানে হয়েছে। এখানকার লোকেরা, তাদের ভালোবাসা, যত্ন এবং অতুলনীয় আতিথেয়তায় সত্যিই আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আমি অধীর আগ্রহে এই সুন্দর দেশে অদূর ভবিষ্যতে আবার ফিরে আসার প্রত্যাশা করছি।’ বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আরো অগণিত ব্যক্তিকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, যাদের নাম হয়তো আমি জানি না কিন্তু যাদের প্রচেষ্টা কম তাৎপর্যপূর্ণ ছিল না। আপনারা সবাই এই বিশেষ বন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন, যা আমি এখন বাংলাদেশের সাথে শেয়ার করছি।’ মার্টিনেজ আরো বলেন, ‘তাই, আমার পরবর্তী সফর পর্যন্ত, আমি আপনাদের বিদায় জানাচ্ছি। আমার হৃদয়ের একটি টুকরো এখানে রেখে যাচ্ছি। আমি চিরকাল বাংলাদেশের বাজপাখি হয়ে থাকব।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত