ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বকাপ দাবা : যেখানে খেলোয়াড়ই কোচ

২৯ জুলাই শুরু দাবা বিশ্বকাপ
বিশ্বকাপ দাবা : যেখানে খেলোয়াড়ই কোচ

আজারবাইজানের বাকুতে আগামী ২৯ জুলাই থেকে শুরু হবে দাবা বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের দুজন পুরুষ (এনামুল হোসেন রাজীব, ফাহাদ রহমান) ও দুই নারী দাবাড়ু- (জান্নাত, নোশিন আঞ্জুম) এই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবেন। দেশের সর্বশেষ গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অংশ নিচ্ছেন বিশ্বকাপে।

এর আগে তিনি বাকি তিন দাবাড়ুর প্রশিক্ষকের ভূমিকাতেও রয়েছেন। বিশ্বকাপ দাবায় বাংলাদেশের হয়ে সেরা পারফরম্যান্স করেছিলেন রাজীবই। তিনিই এখন পর্যন্ত একমাত্র দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাই তো টুর্নামেন্টটিতে স্বাভাবিকভাবেই তার ওপর প্রত্যাশা বেশি। যিনি চলতি সপ্তাহে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে জান্নাত ও নোশিনকে কোচিং শুরু করিয়েছেন। ২৭ জুলাই বাকু রওনা হওয়ার আগে আরো কয়েকটি ক্লাস করাবেন রাজীব। তার কোচিংয়ের কারণে নিজের খেলায়ও যথেষ্ট প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন রাজীব, নিজের প্রস্তুতির সময় কোচিং করালে খেলায় একটু তো প্রভাব পড়েই। এটা আসলে বাস্তবতা। তবে এতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। দাবা ফেডারেশন বিগত কিছু অলিম্পিয়াড ও বিশ্বকাপের সময় বিদেশি কোচ এনেছেন। এবার অবশ্য রাজীবের ওপরই ভরসা করেছে ফেডারেশন। এর কারণ ব্যাখ্যা দিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ সপ্তাহ তিনেক আগেই জানা যায়। প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ এবং নিজের কৌশল নির্ধারণটাই মূলত কোচিংয়ের মূল জায়গা বিশ্বকাপে। রাজীব সিনিয়র খেলোয়াড় তার কোচ প্রয়োজন নেই বলে আমাদের জানিয়েছে। সে কোচ হিসেবেও বেশ ভালো।

বিশ্বকাপগামী বাকি তিনজনের সঙ্গে তার বোঝাপড়া ভালো, এজন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অ-১৬ অলিম্পিয়াড দলকেও সে কোচিং দিচ্ছে। বাংলাদেশের পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টারের মধ্যে রিফাত বিন সাত্তার ও আব্দুল্লাহ আল রাকিব দাবা থেকে বেশ দূরে। উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদও অনেকটা অনিয়মিত। জিয়াউর রহমান ও এনামুল হোসেন রাজীবই মূলত পেশাদার দাবাড়ু। খেলার পাশাপাশি কোচিং তাদের আয়ের অন্যতম একটি উৎসও। তাই রাজীব এখন নিজেকে অনেকটা অবসর পর্যায়ের খেলোয়াড় হিসেবেই গণ্য করছেন, আসলে আমাদের অবস্থা অনেকটা সেমি রিটায়ার খেলোয়াড়ের মতোই। আমি জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েও বাইরে তেমন খেলছি না। বিশ্বকাপের আগে আমার টুর্নামেন্ট খেলা প্রয়োজন ছিল। বিশ্বকাপে দাবায় প্রত্যেক দাবাড়ু প্রথম রাউন্ডে দুই দিন দুটি গেম খেলবেন। দুই গেমের মধ্যে দেড় পয়েন্ট পেতে হবে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে। একমাত্র রাজীব ২০০৭ সালে প্রথম পর্ব পার হতে পেরেছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত