ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাঁচ বছর পর ভারতকে হারালেন টাইগ্রেসরা

পাঁচ বছর পর ভারতকে হারালেন টাইগ্রেসরা

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৬ রান তাড়া করতে গিয়ে অল্পের জন্য হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে হাতছাড়া হয়েছিল সিরিজ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে লক্ষ্যটা আয়ত্তের মধ্যে রাখতে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে ১০২ রানে আটকে রাখে। শামীমা সুলতানার ৪৬ বলে ৪২ রানের ওপর ভর করে সেই লক্ষ্য ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। পেয়েছে ৪ উইকেটের জয়। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ৫ বছর পর ভারতকে হারাতে পারলো টাইগ্রেসরা।

সান্তনার এই জয়ে শেষ হাসি হেসে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ। এর আগে দুই দলের ১৫ বারের দেখায় দুইবার জিতেছে বাংলাদেশ। সেটাও এশিয়া কাপের মঞ্চে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১৪৩ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জয়ের পর ফাইনালে তাদেরকেই হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। কিন্তু এর আগে-পরে প্রায় সব ম্যাচেই বিবর্ণ বাংলাদেশ। বিবর্ণ ছিল শেষ ম্যাচেও। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে নিজেদের সামর্থ্যরে পাশে প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচ ছিল নিজেদেরকে মেলে ধরার বড় সুযোগ। এবার নিগার সুলতানা জোতিরা হতাশ করলেন না। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতল বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলায় আগে বোলিং করে ভারতকে উড়তে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ৯ উইকেটে অতিথিরা করতে পারে কেবল ১০২ রান। সেই লক্ষ্যে ১০ বল আগে হাতে ৪ উইকেট রেখে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। সময়ের হিসেবে ৫ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জিতল বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য যখন ২৪ বলে ১৮ রান লাগত তখন থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যান সুলতানা খাতুন ও শামীম সুলতানার উইকেট হারায়। খাদের কিনারায় থাকা দলকে শেষ মুহূর্তে উদ্ধার করেন নাহিদা আক্তার ও রিতু মনি। ১৮তম ওভারে নাহিদার ব্যাট থেকে আসা চারে সমীকরণ সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসে। বাংলাদেশ শিবিরে তখন জয় সুবাস বইছিল। পরের ওভারে রিতুর ব্যাট থেকে আসা এক রানে জয় নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ তেমন উদযাপন করেনি। জয় সূচক রানের পর রিতুই কেবল দুই হাত প্রসারিত করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ৪৬ বলে ৩ চারে ৪২ রান করে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন শামীমা সুলতানা। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়ার পথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। শেষ দিকে সুলতানা খাতুনের ১২ ও নাহিদার অপরাজিত ১০ রান বাংলাদেশের জয়ের পথ মসৃণ করে দেয়। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো আজও বোলাররা জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর বাদে বাকিদের কাউকেই বড় রান করতে দেয়নি। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার রাবেয়া খান। এছাড়া সুলতানা খাতুন দুই উইকেট নেন। সিরিজ সেরা নির্বাচিত হওয়া হারমানপ্রীত কৌর আজও ৪০ রান করেন। এছাড়া ২৮ রান আসে জেমিমা রদ্রিগেজের ব্যাট থেকে। শেষ ম্যাচ জিতে ওয়ানডে সিরিজের আগে প্রবল আত্মবিশ্বাস পেল বাংলাদেশ। এই জয়ের পর একটু আফসোস করতেও পারেন জ্যোতিরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৮ রানে জিততে পারলে সিরিজ টাও বাংলাদেশের শোকেসে থাকতে পারত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত