ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাফির পাঁচ উইকেট শিকার

দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশের যুবারা

দ. আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশের যুবারা

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডে জিতে আবারও লিড নেয় প্রোটিয়ারা। তাই সিরিজে টিকে থাকতে চতুর্থ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না স্বাগতিক যুবাদের সামনে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে জয়ের ভিতটা গড়ে দেন বোলাররা। রাফিউজ্জামান রাফির দুর্দান্ত বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের অল্প রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ দল। কিন্তু সহজ লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমেও ব্যর্থ মিডল অর্ডার। তাতে হারের শঙ্কাও জেগেছিল। তবে রাব্বি-বর্ণের দৃঢ়তায় সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ১২৮ রানে বেঁধে ফেলে ২৯ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-২ সমতা। প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচটি জিতেছিল প্রোটিয়ারা। বাকি দুইটি স্বাগতিকরা। একই মাঠে আগামী সোমবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে দুই দল। সিরিজে টিকে থাকতে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক রাফি। বাঁহাতি স্পিনে স্রেফ ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর তার হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। অসুস্থতার কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক আহরার আমিন। শেষ ম্যাচেও তিনি থাকবেন না। তার অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অলরাউন্ডার মাহফুজুর। বল হাতে উইকেট না পেলেও ব্যাটিংয়ে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে দলকে জয় এনে দিয়েছেন মাহফুজুর। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রিজান হোসেনের তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজের প্রথম ওভারে দারুণ ইন-সুইঙ্গারে আগের ম্যাচে ফিফটি করা থিবি গ্যাজাইডেকে বোল্ড করেন অভিষিক্তপেস অলরাউন্ডার। পরের বলে এলবিডব্লিউ ডেভিড টিজার। পাওয়ার প্লেতে জোনাথন ওয়ারেন ফন জাইলকেও আউট করেন রিজান। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন গিলবার্ট প্রিটোরিয়াস। রিচার্ড সেলেৎসোয়ানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে তিনি গড়েন ৪০ রানের জুটি। রাফির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা প্রিটোরিয়াস। এরপর ১৮ রান করা সেলেৎসোয়ানকেও ফেরান রাফি। লিয়াম অ্যাল্ডার ও অলিভার জেমস হোয়াইটহেডের চেষ্টায় ১০০ পেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়াসি সিদ্দিকের লেগ স্পিনে কাটা পড়েন হোয়াইটহেড। রাফির শিকার অ্যাল্ডার। নিজের অষ্টম ওভার করতে এসে পরপর দুই বলে কোয়েনা মাফাকা ও ত্রিস্তান লুসকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন রাফি। ১৩ ম্যাচের যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পেলেন ৫ উইকেট। এছাড়া রিজান ৩টি ও ওয়াসি ২টি উইকেট নেন। রান তাড়ায় শুরুতেই ফেরেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। আরেক ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক খেলতে থাকেন মারমুখী ভঙ্গিতে। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি তিনিও। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২৫ রান করেন তিনি। চার নম্বরে নামা আরিফুল ইসলামও অল্পে আউট হওয়ার পর নাঈম আহমেদকে নিয়ে এগোতে থাকেন রিজান। দুজনের জুটিতে আসে ৩১ রান। কিন্তু হুট করেই ১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ বলে ২১ রান করেন নাঈম। রিজান খেলেন ৫০ বলে ২২ রানের ইনিংস। শিহাব জেমসকে রানের খাতা খুলতে দেননি অ্যাল্ডার। ৭৮ রানে ৬ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন মাহফুজুর ও আশরাফুর। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে রয়েসয়ে খেলে বাকি কাজ সারেন দুজন। অ্যাল্ডারের বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন মাহফুজুর। তার সমান ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষিক্ত কিপার-ব্যাটসম্যান আশরাফুলও।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত