ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৫৮ দিন পর বাফুফের চিঠি পেলেন সোহাগ

৫৮ দিন পর বাফুফের চিঠি পেলেন সোহাগ

মাস তিনেক আগে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে আবু নাঈম সোহাগকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। পাশাপাশি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা (১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ) জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও বহিষ্কার হন তিনি। তবে ফিফা নিষেধাজ্ঞার ৫৮ দিন পর শনিবার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় বাফুফে। অথচ বিষয়টি তার এক মাস পর প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে ১০ মে ফিফা ও বাফুফে থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর আবু নাঈম সোহাগ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সেই সম্মেলনে বাফুফের আজীবন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেছিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। সোহাগের এই মন্তব্যের পর ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির অনেক কর্মকর্তা চিঠি প্রদানে বিলম্ব হওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনেরও এক মাস পর বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে সোহাগকে চিঠি প্রদান করেছে। ২০০৫ সালে কম্পিটিশন ম্যানেজার হিসেবে ফুটবল ফেডারেশনে যোগ দিয়েছিলেন আবু নাইম সোহাগ। ২০১১-১৩ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কয়েক মেয়াদে তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের চুক্তি নবায়ন করে বাফুফে।

সোহাগকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করলেও তার দেনা-পাওনা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। অন্যদিকে, সোহাগ ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে আপিল করেছেন। সেই আপিলের কার্যক্রম চলমান। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফুটবলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। সংস্থাটির স্বাধীন এথিক্স কমিটির বিচারক চেম্বার কর্তৃক এ নিষেধাজ্ঞা অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের ওয়েবসাইটে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় সংস্থাটি।

ফিফা কোড অব এথিক্সের ২০২০ সংস্করণের ১৩ (সাধারণ দায়িত্ব), ১ (আনুগত্যের দায়িত্ব) এবং ২৪ (জালিয়াতি এবং মিথ্যাচার) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করায় এ শাস্তি পান সোহাগ। কেনাকাটা ও ফিফার তহবিল অপব্যবহার নিয়ে আবু নাঈম সোহাগকে পাঠানো ৫১ পৃষ্ঠার চিঠি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় ফিফা। অনিয়মের সবগুলো ঘটনাই ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে। যার তদন্ত শুরু হয় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে। গত বছর অক্টোবরে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ফিফার সদর দপ্তরে জুরিখে শুনানি হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি। যেখানে সোহাগ ও তার পক্ষে চারজন আইনজীবী-আজমালুল হোসেন, মারগুব কবির, ভিনসেন্ট সোলারি ও অ্যান্টোইন বোয়েশ উপস্থিত ছিলেন। শুনানির পর চেম্বার সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট যে, ফাইলে থাকা তথ্য, প্রমাণ এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রমাণ করে যে সোহাগ লেনদেন ফিফা বিধির ১-৪ এর সুযোগে মিথ্যা নথি ব্যবহার করেছেন। বিশেষ করে দরপ্রস্তাবগুলো যাচাই না করেই নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। বাফুফে এবং ফিফার প্রতি তার বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত