ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এশিয়ান গেমসে সাবিনা কৃঞ্চাদের নতুন কোচ টিটু

এশিয়ান গেমসে সাবিনা কৃঞ্চাদের নতুন কোচ টিটু

বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। দীর্ঘ সময় মেয়েদের প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকা ছোটনের বিদায়ের পর সহকারী কোচ লিটুকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার অধীনে সম্প্রতি নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এবার লিটুকে সরিয়ে টিটুকে করা হয়েছে সাবিনা খাতুন-রুপনা চাকমাদের অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রধান কোচ। তার চুক্তির খুঁটিনাটি আগামী দুইয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আপনারা জানেন যে অনেক দিন থেকে আমাদের কোচ নেই। আমরা একটা খারাপ সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি প্রায় সাত-আট মাস ধরে। ছোটন ভাই চলে গেছেন, এখন (টেকনিক্যাল ডিরেক্টর) পলও (স্মলি) চলে গেছেন। সামনে আমাদের দুটি টুর্নামেন্ট আছে। একটা হচ্ছে জাতীয় দলের এশিয়ান গেমস, আরেকটা হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। তো সামনের এশিয়ান গেমসের জন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং টিটু ভাইকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিচ্ছি।’ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছোটনের অধীনে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তোলে তারা। নেপাল থেকে ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার পর ছাদখোলা বাসে তাদের মহাসমারোহে বরণ করে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই বিরাট অর্জনের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দলকে চ্যাম্পিয়ন করার মাত্র আট মাসের ব্যবধানে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ছোটন। অনেক অভিমান নিয়ে তিনি গতমে মাসের শেষদিকে বাফুফের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সেটা চলতি মাসের শুরুর দিকে গ্রহণ করে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এশিয়ান গেমস চলবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। সেখানে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে স্টাফ হিসেবে যাবেন চারজন। কিরণ জানিয়েছেন, প্রধান কোচ টিটুর সঙ্গী হবেন ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু, সহকারী কোচ মিরোনা খাতুন ও একজন ফিজিও। প্রথমবারের মতো মেয়েদের কোনো দলের কোচ হয়ে এএফসি ‘এ’ লাইসেন্সধারী দেশের অভিজ্ঞ কোচ টিটু বলেছেন নতুন চ্যালেঞ্জের কথা, ‘আমাকে (বাফুফের সভাপতি কাজী) সালাউদ্দিন ভাই আজকে ফোন করেছিলেন এবং আমি নারী দলের কোচের দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছি। মেয়েদের সঙ্গে আমার এখনো সেভাবে কাজ করা হয়নি। কেবল (জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক) সাবিনা-মিরোনাদের এএফসি ‘সি’ লাইসেন্স কোর্স পরিচালনার করেছিলাম (২০১৩ সালে)। অবশ্যই, এটা একটা নতুন চ্যালেঞ্জ হবে। এই মেয়েরা অনেক পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাবদ্ধ। তবে সামনাসামনি কাজ করলে আসলে বুঝতে পারব যে আর কী কী করতে হবে।’ ৫০ বছর বয়সি টিটু এর আগে কয়েক দফা বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন। তবে কখনোই লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্বে ছিলেন না তিনি। ঘরোয়া পর্যায়ে সবশেষ চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তবে ওই ক্লাব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তাকে। এশিয়ান গেমস পর্যন্ত টিটুর দায়িত্ব পালনের পর পাকাপাকিভাবে নারী দলের হাল ধরবেন কে? কিরণ জবাব দিয়েছেন, বিদেশি কোচের খোঁজে আছে বাফুফে, ‘আমরা আগেও বলেছি, জাপান-(দক্ষিণ) কোরিয়া দুটি জায়গাতেই আমরা চিঠি দিয়েছি। অফিশিয়ালি চিঠি দিয়েছি, আমি ব্যক্তিগতভাবেও যোগাযোগ করেছি। তো ওরা আমাদেরকে কিছু কোচের একটা তালিকা দিলে সেখান থেকে আমরা দেখব যে কাকে নেওয়া যায়। শুধু বলে দিলাম আর ওরা কোচ পাঠিয়ে দিল, সেটা তো হয় না। সেখানে বেতনের ব্যাপার থাকে। কোচের যোগ্যতা, তার অভিজ্ঞতা, তিনি কী কী খেলেছেন, এগুলো সবকিছু দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত