লিগে বিদেশি কোটা বাড়ানোর গুঞ্জন

জরুরি সভা ডেকেছে ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্পোর্টস রিপোর্টার

বিদেশি ফুটবলারদের দাপটের মধ্যেদিয়ে আগামী শনিবার শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। সেই সঙ্গে শেষ হচ্ছে এবারের ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম। নতুন মৌসুমের সূচি এখনো ঘোষণা করেনি বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটি। জানা গেছে, ১ আগস্ট থেকে খেলোয়াড়দের রেজিস্ট্রেশন উইন্ডো শুরুর ঘোষণা আসতে পারে। সেই সঙ্গে এবার বিদেশি খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের কোটা বাড়িয়ে ছয়টি করা হতে পারে বলেও ফুটবল অঙ্গনে গুঞ্জন। কারণ, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এএফসি কাপ খেলবে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী। বেশ্বিক আসরে ৬ জন বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর সুযোগ পাবে ক্লাবগুলো। তবে বাফুফে ৬ বিদেশি রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ না দিলে কিংবা এবারের লিগে খেলা অন্য দলগুলো থেকে জুতসই বিদেশি না পেলে এএফসি কাপে ও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কম বিদেশি নিয়েই খেলতে হবে দুই ক্লাবকে। যে কারণে বাফুফে বিদেশি কোটা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বলে চারদিকে গুঞ্জন। এই গুঞ্জনের পর নড়েচড়ে বসেছে ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি। তারা চলতি আসরের চেয়েও বিদেশি খেলোয়ড়ের কোটা কমানোর দাবি করছে। বর্তমান বাইলজ জনুযায়ী একটি ক্লাব পাঁচজন বিদেশি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে এবং মাঠে খেলতে পারবেন চারজন। ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে স্মারকলিপি দেবো, যাতে বিদেশি খেলোয়াড় কোটা আরো কমানো হয়। দেশি খেলোয়াড়রা এমনিতেই সুযোগ পাচ্ছেন না। তারা খেলবেন কোথায়? আগামী রোববার দুপুর ১২ টায় আমাদের সমিতির জরুরি সভা ডেকেছি। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আমাদের কার্যালয়ে সভাটি হবে। সেখানে আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তারপর বাফুফেকে স্মারক লিপি দেবো। পাশাপাশি আমাদের ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি তৈরি করতে হবে। তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করবো।’ এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের। এ প্রসঙ্গে ইকবাল হোসেন বলেন, ‘দলটি নেমে যাওয়ায়? ফুটবলারদের অনেক ক্ষতি হবে। অনেক ক্লাব আছে ফুটবলারদের ঠিকমতো টাকাণ্ডপয়সা দেয় না। সে হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা খেলোয়াড়দের ভালো টাকাণ্ড পয়সা দিতো। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে দলটির অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। মুক্তিযোদ্ধায় আমিও খেলেছি। চ্যাম্পিয়ন টিমের সদস্য ছিলাম। ক্লাবটি একটা আবেগের নাম। তবে অবনমনের বিষয়টি বাইলজঅনুযায়ী হয়ে থাকে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা হয়তো এতটুকুই বলতে পারি, যদি সম্ভব হয় তাহলে ক্লাবটিকে প্রিমিয়ার লিগে রেখে দিলে অনেক ফুটবলার উপকৃত হবেন। আমরা এর বেশি বলতে পারবো না। কারণ লিগ একটা বাইলজ দিয়ে চলে।’ ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম নেই বললেই চলে। অনেকদিন পর সভা করছেন। এভাবে চলছে কেন? ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমরা সভা করেছিলাম। আসলে মিটিং ডাকলে অনেকে আসতে পারে না। বর্তমান জাতীয় দলে যারা খেলেন এমন খেলোয়াড়রা থাকলে আরো ভালো হয়। আমরা সবাইকে ডেকেছি। আগেই মিটিংটা করতাম। শনিবার পর্যন্ত লিগের খেলা আছে। যে কারণে আমরা সভাটি রোববার করছি। আমরা সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। নতুনদের বলবো, তোমরা দায়িত্ব নাও, আমরা তোমাদের সাথে থাকবো।’