আসছে মেয়েদের বিপিএল ও স্কুল ক্রিকেট

৩৫ লাখ টাকা বোনাস পাচ্ছেন জ্যোতি-ফারজানারা

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

অল্পের জন্য সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়া হয়নি। তবে যা হয়েছে, সেটিও কম নয়। ভারতের মতো পরাশক্তির বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ফারজানা হক ওয়ানডেতে দেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন। স্মরণীয় এই অর্জনের পর বিসিবির থেকে বোনাস পাচ্ছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফারজানা হকরা। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে নারীদের ৩৫ লাখ টাকা বোনাস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পাশাপাশি মেয়েদের ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরো অনেক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রধান। আইসিসি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৪০ রানের দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ। পরে দ্বিতীয়টি হারলেও শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর অসাধারণ গল্প লিখে হারের দুয়ার থেকে ‘টাই’ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। মেয়েদের ক্রিকেটে ওয়ানডেতে বড় কোনো দলের বিপক্ষে এটিই সেরা সাফল্য। ওয়ানডে সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও শেষ ম্যাচটি জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯৬ রান তাড়ায় শেষ দিকে ধস নেমে ম্যাচ না হারলে হয়তো এই সংস্করণেও সিরিজ জয় ধরা দিত। এমন অর্জনের পর অভিনন্দন, শুভেচ্ছা আর স্তুতির জোয়ারে ভাসছেন ক্রিকেটাররা। দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি জানালেন আর্থিক পুরস্কারের অঙ্ক। ‘সাধারণত সিরিজ জিতলে আমরা বোনাস দেই। তবে এবার সিরিজ না জিতলেও প্রথম ওয়ানডে জিতেছে ভারতের সাথে... এজন্য শেষ ম্যাচে টাই করল। এছাড়া আমাদের সেঞ্চুরি আছে একটা, বেশ কয়েকটা মেয়ে খুব ভালো পারফর্ম করেছে।’ পাপন বলেন, ‘সব কিছু মিলিয়ে আমরা শুধু ক্রিকেটারদের জন্য ২৫ লাখ টাকা এবং এর সঙ্গে যারা পারফর্ম করেছে, যেমন সেঞ্চুরির জন্য আলাদা ২ লাখ, যারা ভালো করেছে ওদের জন্য আলাদা আলাদা টাকা- এভাবে আমরা দিচ্ছি। সব মিলিয়ে আমার ধারণা ৩৫ লাখ হবে।’ অর্থ পুরস্কারের বাইরে মেয়েদের ক্রিকেটে ঘাটতির জায়গাগুলো নিয়েও এখন কাজ করা হবে বলে জানান নাজমুল হাসান। তিনি জানান, ক্রিকেটারদের চাওয়া অনুযায়ী বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ‘আমরা ওদের বোনাস দিয়েছি। তবে এর চেয়ে বড় কথা হলো, আমরা ওদের ব্যাপারটায় আরো মনোযোগ দিচ্ছি। ওরা কিছু পরামর্শ দিয়েছে। আমরা বলেছি, ‘অবশ্যই এগুলো দেখব।’ সাপোর্ট স্টাফ লাগবে, আরো কোচ লাগবে। যেমন ফাস্ট বোলিং কোচ হলে ভালো হয়। এগুলো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে করব।’ দীর্ঘ দিন ধরেই জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় ছেলেদের স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এবার মেয়েদের ক্রিকেটেও তেমন কিছু করার পরিকল্পনা বিসিবির। ‘এর বাইরে আছে মেয়েদের স্কুল ক্রিকেট। এটা আমরা এই বছর শুরু করতে চাই। এতে করে আমরা নতুন নতুন ক্রিকেটার পাবো আশা করি। ওরা মেয়েদের বিপিএল চেয়েছে। সেটাও আমরা বলেছি যে, নীতিগতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা সেটা চালু করব এখন।’ এই দলের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ও লড়াকু মানসিকতায় মুগ্ধ বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের দলকে আমরা যতটা দুর্বল মনে করি, তারা কিন্তু নিজেদের এত দুর্বল মনে করে না। প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তারা সাহস করে খেলছে এবং খেলতে পারে।’