দুই সপ্তাহ পর জানা যাবে তামিমের ভবিষ্যৎ

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

পিঠের চোট বড্ড ভোগাচ্ছে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। দীর্ঘ দিন ধরে বয়ে চলা পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এ ড্যাশিং ওপেনার লন্ডনের চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। ভুল চিকিৎসার কারণে পরীক্ষার পর বাঁহাতি এ ব্যাটারের মেরুদণ্ডের হাড়ে ক্ষত ধরা পড়ে। যেটি থেকে পরিত্রাণ পেতে এর মধ্যেই দুই দফায় ইনজেকশন নিয়েছেন তিনি। চিকিৎসা শেষ করে সোমবার বিকালে দেশে ফিরছেন তামিম। তবে দেশে ফিরে আসলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবুজ সংকেত না মেলায় এখনই ফিটনেস টেস্ট ও কন্ডিশনিং ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। ইনজেকশন নেয়ার কারণে তামিমের ব্যথা বর্তমানে নেই। কিন্তু আসলেই ইনজেকশন ফলপ্রসূ হয়েছে কিনা, সেটি বোঝা যাবে সপ্তাহখানেক পর। আর সে কারণেই এখনই তামিমকে অনুশীলনে নামতে দিতে নারাজ বিসিবির মেডিক্যাল ইউনিট। আপাতত তামিম ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এর মধ্যে যদি ব্যথা ফিরে আসে, তবে আরেক দফায় ইনজেকশন নেবেন বাঁহাতি এ ব্যাটার। যদি তাতেও কোনো উপকার না হয়, তাহলে তামিমের শেষ পরিণতি অস্ত্রোপচার। দেশে ফিরে এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে বাঁহাতি এ ব্যাটারকে। পরের সপ্তাহে শুরু করবেন পুনর্বাসন কার্যক্রম। এরপর আসবে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা ওকে আপাতত ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখব। দেখি ব্যথার আপডেট কি হয় ততদিনে। যদি ইমপ্রুভ হয়, তাহলে তো অনুশীলনে নামতে কোনো সমস্যা থাকছে না। আগে দেখি কি অবস্থা।’ চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় তামিমের ইনজুরির জায়গাটিকে বলা হয় এল ফোর আর এল ফাইভ। ইনজেকশনে সেটি ঠিক না হলে অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতিকে। আর সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ তো বটেই, অবধারিতভাবে বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যাবেন তিনি।