ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তামিম ইকবাল প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন

শতভাগ ফিট ছাড়া বিশ্বকাপে কাউকে বহন করা কঠিন

শতভাগ ফিট ছাড়া বিশ্বকাপে কাউকে বহন করা কঠিন

লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে গত সোমবার বিকালে দেশে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। যদিও দেশে ফিরেই অনুশীলন করতে পারছেন না তিনি। সপ্তাহখানেক বিশ্রাম নিয়ে শুরু হবে পুনর্বাসন। এরপর ৮ আগস্ট থেকে স্কিল ক্যাম্পে যোগ দেবেন। তবে তার এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলা এখনো আছে ধোঁয়াশায়। সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফিটনেস। বেশ কিছুদিন ধরেই পিঠের সমস্যায় ভুগছিলেন তামিম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট থেকে এই চোটেই ছিটকে যান। ওয়ানডে সিরিজে ফিরলেও ফিটনেস থেকে যায় সংশয়ে।

সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে, শতভাগ ফিট না হয়েও খেলার কথা জানান। তাতে বিতর্ক উসকে যায়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনও করেন মন্তব্য। এরপর চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও চলে যান ছুটিতে। পরিবার নিয়ে কয়েক দিন দুবাই ঘুরে লন্ডনে যান কোমরের চিকিৎসা করাতে।

সেখানে বিসিবির তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা করান তিনি। তামিমের চিকিৎসা করেছেন মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ টনি হ্যামন্ড। তার সমস্যা মেরুদণ্ডে কোমরের দিকের অংশে, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যে অংশটিকে বলা হয় এল-৪ ও এল-৫। অস্ত্রোপচার করালে তামিমকে তিন-চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হতো। এরপরও তার পুরোপুরি চোটমুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা ছিল না। আর তার সমস্যাটি এমনও নয় যে অস্ত্রোপচার করাতেই হবে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে তামিমও অস্ত্রোপচারের পথে যাননি। তিনি দেশে ফিরছেন লন্ডনে দুই দফায় চারটি ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে। তবে তামিমের ব্যথা যেকোনো সময় আবার ফিরে আসতে পারে বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে। খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘প্রথম কথা হলো যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য সেটা তামিম হোক বা অন্য কেউ, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সম্পূর্ণ ফিট থাকা।’ বিসিবির প্রভাবশালী এই পরিচালক আশা করেন পুরোপুরি সেরে উঠে মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন তামিম। কিন্তু তার মতে শতভাগ ফিটনেস ছাড়া বিশ্বকাপে কাউকে বহন করা এখন কঠিন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, তামিম এখনো দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার। সবাই জানে দলে তার গুরুত্ব। কিন্তু যদি আপনি বিশ্বকাপের কথা বলেন তাহলে যে ফিট না তাকে আপনি স্কোয়াডে এফোর্ড করতে পারবেন না। এটা ৬০০ বলের খেলা, আপনাকে সব সময়ই সজাগ থাকতে হবে। যদিও আমি আশা করছি তামিম ইনজুরি থেকে সেরে ফিরবে। যেটা বড় আসরে বাংলাদেশকে সুবিধা দেবে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত