ক্রিকেটারদের ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় বিসিবির কমিটি গঠন

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। এতদিন বিচ্ছিন্নভাবে রাজধানীতে শনাক্ত হলেও এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুরোগী। প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুরোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। ইতিপূর্বে ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ রূপ আর কখনো দেখা যায়নি।

চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬১ জন। ডেঙ্গুর ঢেউ গিয়ে আছরে পড়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলেও। আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় দলের পেসার হাসান মাহমুদ। পরে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের সুস্থতার কথা জানান তিনি। ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে হাসানের ডেঙ্গু হয়েছিল।

যে কারণে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এডিস মশা প্রতিরোধে প্রস্তুতিও নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একটি ডেঙ্গু কমিটিও গঠন করেছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। হোয়াটসঅ্যাপে কমিটির সদস্যদের নিয়ে খোলা গ্রুপের নাম ‘বিসিবি ডেঙ্গু কমিটি’। বিসিবির বিভিন্ন কমিটি থেকে এখানে জনবল যুক্ত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বিসিবির মেডিকেল টিমও আছে এই কমিটিতে। কমিটির মূল পরিচালনাা ভার দেয়া হয়েছে বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে।

ডেঙ্গু নিয়ে আগে থেকে সতর্কতার অর্থ, অবহেলায় কাউকে মশাবাহিত এই ভাইরাসে যেন আক্রান্ত হতে না হয়। সেই লক্ষ্যে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি রোধে, মাঠ, একাডেমি, বিসিবি চত্বর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের নির্দেশনায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট সামনে থাকায় ডেঙ্গুর বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছে বিসিবি। যাতে কোনো কর্মকর্তা বা ক্রিকেটার আক্রান্ত না হন। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার পেসার হাসান মাহমুদের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি ফেসবুকে নিজের ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছেন তাকে নিয়ে আপাতত চিন্তার কিছু নেই। তবে ডেঙ্গুর লক্ষণ থাকায় গত দুই দিনে এশিয়া কাপের ফিটনেস ক্যাম্পে আসতে পারেননি হাসান। যদিও এখন অবস্থা উন্নতির দিকে আছে হাসানের। দুয়েক দিনের মধ্যে তার ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা।