আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের পা ভেঙে কাঁদলেন মার্সেলো

ম্যাচে তখন দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলছিল। বল পায়ে কাটানোর চেষ্টা করছিলেন মার্সেলো। পাশ থেকে ছুটে এসে বাঁ পা বাড়িয়ে দেন লুসিয়ানো সানচেস। পরের ধাপেই মার্সেলোর পা গিয়ে পড়ে সানচেসের বাড়িয়ে দেয়া পায়ের ওপর।

মুহূর্তেই সেই পা ভেঙে উল্টো দিকে একদম মুচড়ে যায়। মুহূর্তের আকস্মিকতায় হতভম্ব সবাই। মার্সেলোকে দেখানো হয় লাল কার্ড। সানচেসের অবস্থা দেখে আগে থেকেই কাতর মার্সেলো মাঠ ছাড়েন কাঁদতে কাঁদতে। দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর কোপা লিবার্তাদোরেসের ম্যাচে গত মঙ্গলবার এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটে।

বুয়েন্স এইরেসের দিয়েগো মারাদোনা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনার আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে ফ্লুমিনেন্সের মার্সেলোর পায়ে লেগে বাজেভাবে ওই চোট পান আর্জেন্টিনোসের সানচেস।

তখনই মাঠে পড়ে কাতরাতে থাকেন ২৯ বছর বয়সি ডিফেন্ডার। সতীর্থরা তাকে ঘিরে ধরেন। মার্সেলো নিজেও কাছে গিয়ে সানচেসের পায়ের অবস্থা দেখে মাথায় হাত দিয়ে ফেলেন। পরে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাঠে কিছুক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর সানচেসকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে টিওয়াইসি স্পোর্টস, ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এই চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে ৮ থেকে ১২ মাস সময় লাগবে সানচেসের। ভিএআর দেখে মার্সেলোকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। মার্সেলো পরে ইনস্টাগ্রামে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন সানচেসের।

‘আজকে মাঠে খুব কঠিন একটি মুহূর্ত আসে আমার জন্য। অনিচ্ছাকৃতভাবে একজন খেলোয়াড়কে চোটে ফেলে দেই আমি। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আমি। জগতের সবটুকু শক্তি তার সহায় হোক।’

সামাজিক মাধ্যমে পরে সানচেসকে শুভ কামনা জানায় মার্সেলোর ক্লাব ফ্লুমিনেন্সও। সানচেসের ওই চোটের সময় ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল তার ক্লাব। পরে ৮৭তম মিনিটে গোল শোধ করে দেয় ফ্লুমিনেন্স। শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচটি ড্র হয় ১-১ গোলে।