বার্সেলোনার নাইটক্লাবে এক নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দানি আলভেসকে গত ২০ জানুয়ারি কারাগারে পাঠায় স্পেনের একটি আদালত। সেই থেকে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। তার সামনে অপেক্ষা করছে আরো বড় শাস্তি। আলভেস বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তার প্রমাণ মিলেছে। লম্বা সময় ধরে তদন্তের পর অবশেষে স্পেনের একজন বিচারক গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলভেসকে অভিযুক্ত করেন। তার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান এই বিচারক। স্পেনে ধর্ষণের কোনো ঘটনা প্রথমে তদন্ত হয় সাধারণ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ হিসেবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। বাদী ওই নারীর অভিযোগ, গত বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন আলভেজ। এই অভিযোগে গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে স্পেনের আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তখন থেকেই বার্সেলোনা একটি কারাগারে আছেন বার্সেলোনার সাবেক এই খেলোয়াড়। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনায় একটি নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। সম্মতি ছাড়াই আলভেস নাকি তার অন্তর্বাসের নিচের দিকে স্পর্শ করেন। ওই নারীর অভিযোগ, আলভেস তাকে চড় মারেন এবং নাইটক্লাবের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শুরুতে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন আলভেস। গ্রেপ্তার হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে স্থানীয় টিভি চ্যানেল আন্তেনা থ্রি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ফুটবলার বলেছিলেন- ওই নারীকে তিনি চেনেন না। পরে গত এপ্রিলে সাক্ষ্য পরিবর্তন করেন ৪০ বছর বয়সি ফুটবলার। স্বীকার করে নেন অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা। তবে দুইজনের সম্মতিতে তা হয়েছিল বলে দাবি করেন আলভেস।