ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম

সাকিবের হাতেই ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেয়া উচিত

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

লন্ডনে ইনজেকশন নিয়ে দেশে ফিরে আসন্ন টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু কোমরের চোট পুরোপুরি না সারায় এশিয়া কাপেও তার খেলা হচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ক্রিকেট অপরাসেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের পর ওয়ানডে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তামিম। তার সরে যাওয়ায় ক্রিকেট বোর্ডকে খুঁজতে হচ্ছে নতুন অধিনায়ক। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ক্রিকেট বিশ্লেষক ও দেশ বরেণ্য কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়ে দিলেন নতুন অধিনায়কের নাম।

তিনি জানান কেবল মাত্র সাকিব আল হাসানকেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব দেয়া উচিত। অভিজ্ঞতা, তীক্ষè পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আর সেরা পারফরমেন্স আদায় করার গুণের কারণে সাকিব অন্যদের চেয়ে ঢের এগিয়ে আছেন। নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, অধিনায়কত্বটা যদি এমন হয় যে, একটা দলের যে কোনো একজনকে দেয়া যাবে, তাহলে যে কাউকে দেয়া যায়। তবে অধিনায়কত্বটা যদি এমন হয় যে, দলকে সে সবচাইতে ভালোভাবে পরিচালনা করবে এবং দলের সবচেয়ে ভালো রেজাল্টটা নিয়ে আসতে পারবে তাহলে সেই ভূমিকায় সাকিব আল হাসান ছাড়া অন্য কেউ আসবে না। তিনি আরো বলেন, আমার কাছে মনে হয় অধিনায়কের জন্য বেস্ট চয়েজ সাকিব আল হাসান। আমার মতে, এখানে তুলনা করার সুযোগ নেই অন্য কারো সঙ্গে। আমরা যদি ভালো রেজাল্ট পেতে চাই তাহলে আমাদের কাছে বিকল্প অন্যকিছু নাই সাকিবকে অধিনায়কত্ব দেয়া ছাড়া। সাকিব যদি অধিনায়ক না হয় তাহলে হয়তো আমরা অন্যকিছু ভাবতে পারি। কিন্তু এর বাইরে আমাদের চেষ্টা করা উচিত যাতে ও (সাকিব আল হাসান) যেন অধিনায়কের দায়িত্ব নেয়। কিশোর সাকিবকে বিকেএসপিতে বেড়ে উঠতে দেখেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তার পথ চলাটা তো সবারই জানা। কিছুদিন আগেও বিপিএলে ফরচুন বরিশালে একসঙ্গে কাজ করেছেন সাকিব-ফাহিম জুটি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে সাকিবের শক্তির জায়গাগুলোর কথা বলেছেন নাজমুল আবেদীন। জানিয়েছেন, কেন সাকিব সেরা অধিনায়ক কিংবা, অন্যদের চেয়ে কোথায় তিনি এগিয়ে।

আবেদীন ফাহিম বলেন, আমার ধারণা, ক্রিকেটে অধিনায়কের রোল প্লে করা খুব বড়, এবং সাকিব টি-টোয়েন্টিতে দেখিয়েছে ওর যোগ্যতা কতটুকু এবং আমি বিশ্বাস করি যে, এই দলটার (ওয়ানডে দল) ও যদি দায়িত্ব নেয় তাহলে আমার মনে হয়, দলটার হয়তো বাড়তি কিছু পারফরমেন্স ওর কাছ থেকে আমরা আশা করতে পারবো শুধু ওর অধিনায়কত্বের কারণে। নাজমুল আবেদীন ফাহিম আরো বলেন, আমার মনে হয়, সাকিবের যে অভিজ্ঞতাটা তাতে সে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। সাকিব বাংলাদেশের পরিবেশেই বেড়ে উঠেছে সত্যি কথা।

কিন্তু, ওর পরবর্তী গ্রোথটা কিন্তু সারা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের অনেক জায়গায় ও ক্রিকেট খেলেছে এবং ওখানেও দেখার সুযোগ পেয়েছে যে, একজন খেলোয়াড় কীভাবে পারফর্ম করতে পারে। ও নিজেও একজন খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছে এবং সেখানে সে তার অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান নিয়েছে। আমার মনে হয়, সাকিবের বড় গুণ হচ্ছে তার সচেতনতা। ও যেখানে যায় সেখান থেকে সবকিছু লক্ষ্য করে এবং একজন প্লেয়ারের থেকে কীভাবে পারফরমেন্স আদায় করে নিতে হয়, দলকে কীভাবে দলে রূপান্তরিত করতে হয় এবং কঠিন সময় কীভাবে সাহসী ডিসিশন নিতে হয়। আমরা দেখেছি সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় ও পেছনে তাকায় না। ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় যেখানে ওর কাছে সেরাটা মনে হয় ও সেটাই করে। কে কী ভাববে, কী হতে পারে- এসব ভাবনা ও ভাবে না। এসব লেভেলে এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য সাহস থাকা খুব জরুরি, যে সাহস সাকিবের আছে। এজন্যই সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়, ওর মতো অভিজ্ঞ আর কেউ নেই।