ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে চাকরি হারালেন ভক্ত!

মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে চাকরি হারালেন ভক্ত!

সারা বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। কিন্তু প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াপ্রেমীদের তেমন আগ্রহ ছিল না স্থানীয়ভাবে ‘সকার’ নামে পরিচিত খেলাটি নিয়ে। জরিপ বলেছে, দেশটির ক্রীড়াঙ্গনে পছন্দের তালিকার চতুর্থ নম্বরে সকারের অবস্থান। তবে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি মার্কিন ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার পর বদলে গেছে সেই দৃশ্যপট। গত বৃহস্পতিবার লিগস কাপের ম্যাচে অরল্যান্ডো সিটিকে ৩-১ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি। জোড়া গোল করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ৩৬ বছর বয়সি লিওনেল মেসি। তবে সেই ম্যাচটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে ভিন্ন প্রসঙ্গে। ওই ম্যাচের দিন চাকরিচ্যুৎ হয়েছেন এক মেসিভক্ত। কারণটা আবার মেসির অটোগ্রাফ গ্রহণে। প্রিয় খেলোয়াড়ের সঙ্গে স্মরণীয় মুহূর্ত নাকি বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে একটি চাকরি। কে কোনটা বেছে নেবেন, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে, প্রিয় খেলোয়াড়ের নাম যদি হয় লিওনেল মেসি, তবে চাকরি বিসর্জন দেয়ার কথাই ভাবতে পারেন অনেকে। মেসির নতুন ক্লাব ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে দেখা গেল এমন এক পাগলাটে সমর্থককে। ক্রিস্টিয়ান সালামাঞ্চা নামের সেই সমর্থক ছিলেন ইন্টার মায়ামির স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। জন্মগতভাবে কলম্বিয়ান হলেও আরো দশজন লাতিন আমেরিকানের মতোই লিওনেল মেসির পাগলাটে ভক্ত তিনি। দ্য মিররের খবরে বলা হয়েছে, ওইদিন মেসিকে দেখে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ক্রিস্টিয়ান সালামাঞ্চা। প্রিয় তারকাকে কাছে পেয়ে টি-শার্টে একটি অটোগ্রাফ গ্রহণ করেন তিনি। তাতেই নোটিশ পান চাকরি হারানোর। অভিযোগ, পেশাদার আচরণ লঙ্ঘন করে অটোগ্রাফ নিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, স্টেডিয়ামে কিংবা বাইরে যারা কাজ করেন, তারা কখনো কোনো খেলোয়াড়কে বিরক্ত করতে পারবেন না। খেলোয়াড়দের সামনেও পেশাদার আচরণ বজায় রাখতে হবে। কিন্তু সালামাঞ্চা এ নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। যার কারণে তাকে চাকরি হারাতে হচ্ছে। তবে সালামাঞ্চা বলেন, আমি সে দিন স্টেডিয়ামের বাইরে একটি বাথরুম পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু মেসিকে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। আমি ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ বলে ডাক দিতেই তিনি আমার ডাকে সাড়া দেন। আমার কাছে এসে অটোগ্রাফ দেন। ঘটনার পরেই আমাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে যা-ই হোক অটোগ্রাফ নেয়ার মুহূর্ত আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত