ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ মানেই অন্য রকম মাদকতা। মাঠ ও মাঠের বাইরে থাকে টান টান উত্তেজনা। আর লড়াইটা বিশ্বকাপের মঞ্চে হলে আরো চড়ে উত্তেজনার পারদ। ব্যাটে-বলের ওই লড়াইয়ের গল্পটা যদিও বড্ড একপেশে! যার পরতে পরতে রচিত শুধু ভারতের বীরত্বগাথা। ভারতের সামনে পড়লেই যেন চাপে নুইয়ে পড়ে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তাদের জয় মোটে একটি। বিশ্বকাপে আরেকটি ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ সামনে রেখে বারবার ভেঙে পড়ার নিজেদের বিবর্ণ অতীতটা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন ওয়াকার ইউনিসও। তবে বর্তমান জামানার চেয়ে তাদের সময়ে চাপ তুলনামূলক কম ছিল বলেই মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক। বর্তমান ক্রিকেটাররা এটা ভালোভাবে সামলাচ্ছেন বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক ও কোচ, ‘সম্ভবত আমাদের সময় এটা তুলনামূলক একটু কম ছিল। কারণ ওই সময় আমরা প্রচুর ক্রিকেট খেলতাম। তবু বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে আমরা চোক করতাম। তবে বর্তমান সময়ের ক্রিকেটাররা খুব ভালোভাবে এটা সামলাচ্ছে। এই দক্ষতার কারণেই আসন্ন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী সাবেক এই পেসার, ‘আমাদের ম্যাচজয়ী ক্রিকেটার আছে। এক হাতে ম্যাচ বের করে নিতে পারে বাবর আজম ও শাহীন শাহ আফ্রিদি। দুর্দান্ত কিছু করে দেখানোর ক্ষমতা আছে ফখরেরও। ভালো ইনিংস খেলতে পারে ইমামণ্ডউল হকও। সুতরাং, সব রসদ আছে পাকিস্তানের। এখন শুধু চাপ সামলে একসঙ্গে সব কিছু করে দেখাতে হবে। ওপরে উল্লিখিত ক্রিকেটাররাই আমাদের ম্যাচটা জিতিয়ে দেবে। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের আকর্ষণীয় দ্বৈরথটি হতে পারে ১৪ অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।