ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিসিবির সভায় চূড়ান্ত হয়নি অধিনায়ক : পাপনকে দায়িত্ব

বিসিবির সভায় চূড়ান্ত হয়নি অধিনায়ক : পাপনকে দায়িত্ব

গত সপ্তাহে তামিম ইকবাল নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। অধিনায়ক ইস্যুতে জরুরি সভা ডেকেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সভায় অধিনায়ক নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। তিনি সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করে বাছাই করবেন। এরপর ১২ আগস্টের মধ্যে টাইগারদের নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করবেন পাপন।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সভা শেষে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আজকে আমাদের একটা জরুরি সভা ছিল। জরুরি সভা ডাকার জন্য একটা কারণ ছিল সেটা অধিনায়কত্বের ব্যাপারে। মূলত, এশিয়া কাপের অধিনায়ক নির্বাচনের কথা ছিল। আমরা আজকে বোর্ড সভায় বসেছিলাম। পরে বোর্ড থেকে আমরা সবাই মাননীয় সভাপতিকে অধিনায়ক নির্বাচন করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি এখন ভেবেচিন্তে যে কয়জন সম্ভাব্য প্রার্থী আছে অধিনায়ক হওয়ার জন্য, তাদের সঙ্গে কথা বলে (নির্ধারণ করবেন)। (এরপর) আমরা চূড়ান্ত করব। আশা করি, আমরা দুই-তিন দিনের মধ্যে... ১২ সেপ্টেম্বর (মূলত অগাস্ট) আমাদের ডেডলাইন আছে (এশিয়া কাপের দল দেয়ার জন্য)। তার আগে আমরা অধিনায়ক চূড়ান্ত করে আপনাদের জানিয়ে দিব।’ নেতৃত্বের বিবেচনায় সম্ভাব্য কারা আছেন বা বিসিবি সভাপতি কোন ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলবেন, সেটি অবশ্য খোলাসাই করে দিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।

‘আপনারা জানেন, সাকিব আছে। লিটন আছে। আরেকজন আমাদের প্রতিশ্রুতিশীল, মিরাজ আছে। সেও একজন, আলোচনায় নাম উঠে এসেছে। নামগুলো আপনারাও সবাই জানেন। এদের সঙ্গে মূলত আলাপ আলোচনা করা হবে।’ তামিম নেতৃত্ব ছাড়ার পর এই ৫ দিনেও কেন সাকিব-লিটনদের সঙ্গে আলোচনা করা গেল না, সেটির সরাসরি ব্যাখ্যা দিতে পারেননি জালাল ইউনুস। তবে নেতৃত্ব নির্বাচনে দেরি হওয়ার কারণ বোঝানোর চেষ্টা তিনি করলেন।

‘তারা এখন কয়েকজন বাইরে আছে। তবে টেলিফোনে আলাপ করা যায়। কিন্তু এর মধ্যে আমাদের নিজেদের মধ্যেও তো আলাপ-আলোচনা ছিল। কারণ, যাকে দেয়া হবে, আমরা চাচ্ছি যে, তাকে ভালোভাবে বুঝেশুনে এখানে ফরম্যাটগুলো আছে, কাউকে সব ফরম্যাটে দেব কি না বা দুই ফরম্যাটের জন্য কি না, অধিনায়কত্বের জন্য যাদের বলা হবে, তারা রাজি আছেন কি না, এইসব আলাপ আলোচনার জন্য সময় নেওয়া।’ ‘যেহেতু এখানে অনেক কিছু ইস্যু চলে আসছে, এজন্য মাননীয় প্রেসিডেন্টকে সবাই বলেছে যে, আপনি দায়িত্ব নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন এবং নির্বাচিত যে অধিনায়ক হবে, সেটা পরে জানিয়ে দেয়া হবে।’ কোন ‘ইস্যু’ চলে এসেছে, অবশ্য বলতে চাননি তিনি। তবে নিশ্চিত করেছেন, মঙ্গলবার থেকেই সাকিব-মিরাজ-লিটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন বিসিবি সভাপতি। একটি কৌতূহল জাগানিয়া কথা অবশ্য বলেছেন জালাল ইউনুস। আপাতত তাদের ভাবনায় আছে মূলত এশিয়া কাপের অধিনায়ক নির্বাচন করা। ‘যেহেতু আমাদের সামনে এশিয়া কাপটা আছে, আমরা চাচ্ছি আগে এশিয়া কাপের অধিনায়ক ঘোষণা করি। এর সাথে সাথে মূলত আরও বাকি যে দুই ফরম্যাট আছে, একসাথেই হয়তো চিন্তাভাবনা করে তখন এটা বুঝিয়ে দেয়া হবে।’

যেহেতু আমাদের ১২ তারিখ মধ্যে দিতে হবে (এশিয়া কাপের দল), সেজন্য ১২ তারিখের মধ্যে এশিয়া কাপের অধিনায়কত্ব দেয়া হবে। আমাদের দলও দেয়ার ব্যাপার আছে সেই সাথে। যেহেতু বিশ্বকাপের জন্য ৫ সেপ্টেম্বর শেষ সময় (দল ঘোষণা করার), তার আগে আমরা চাচ্ছি যে ভেবেচিন্তে পরবর্তীতে বিশ্বকাপের অধিনায়কত্ব ঘোষণা করার’। সেক্ষেত্রে ভিন্ন দুজন অধিনায়ক হতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে তার জবাব, ‘এখন তো আমার মনে হয়, (এশিয়া কাপে) ওয়ানডে অধিনায়ক যে হবে, তার (পরবর্তীতে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বিশ্বকাপে) দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়া উচিত।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত