ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফলে গেল সাকিবকে নিয়ে মাশরাফির ভবিষ্যদ্বাণী

ফলে গেল সাকিবকে নিয়ে মাশরাফির ভবিষ্যদ্বাণী

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নিয়মিত অধিনায়ক ছিলেন তামিম ইকবাল। আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল দেশ সেরা এ ওপেনারেরই। কিন্তু কয়েক দিন আগে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই নতুন অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল। অবশেষে এ অলরাউন্ডারকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে যেন সত্যি হলো মাশরাফি বিন মর্তুজার সেই ভবিষ্যদ্বাণী। যেখানে ৪ বছর আগেই সাবেক টাইগার কাপ্তান বলেছিলেন, সাকিবের নেতৃত্বেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যদিও পরবর্তী সময়ে তা ১ বছর কমানো হয়। সে সময় মাশরাফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সাকিবের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে মাশরাফি এক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছু দিন পর এটা ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান...!’ অবিশ্বাস্যভাবে মাশরাফির সেই পোস্টের কথাই যেন বাস্তবায়িত হচ্ছে। যা কাকতালীয় হলেও সত্য। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে বিসিবি সভাপতি পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়ানডে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে এশিয়া কাপে না খেলারও সিদ্ধান্ত জানান তিনি। গত ৩ আগস্ট দায়িত্ব ছাড়েন তামিম। তার নেতৃত্ব ছাড়ার সপ্তাহ খানেক পরই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল বিসিবি। অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসকে নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবের অভিজ্ঞতায়ই আস্থা রেখেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেবারই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি। প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় ২ বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারো নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান সাকিব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত