২০ শটের টাইব্রেকার

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

নিশ্চিতভাবে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়াতে যাচ্ছে বলে শেষ মিনিটে গোলরক্ষক পরিবর্তন করেন ফরাসি কোচ হার্ভ রেনার্দ। বদলি নেমে আস্থার প্রতিদানও দেন সলিনি ডুরান্ড। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে মঞ্চ জমিয়ে তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। সাডেন ডেথে গড়ানো ২০ শটের এই টাইব্রেকার ৭-৬ ব্যবধানে জিতে নেন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। তাতে প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মঞ্চে পৌঁছে যায় ‘দ্য মাতিলদাস’রা। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, যারা সেমিতে কলম্বিয়াকে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে। ব্রিসবেনের সানকর্প স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স কেউই গোল করতে পারেনি। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ছিল একই চিত্র। আর টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শট সমতায় থাকায় খেলা চলে যায় সাডেন ডেথে। সেখানে নবম ও দশম শট জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন ফ্রান্সের কেঞ্জা দালি ও ভিকি বেকো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দশম শটে কোনো রকম ভুল করেননি কোর্টনি ভাইন। ফ্রান্সের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠিয়েই উল্লাসে মেতে ওঠেন। এদিকে সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে সেমিতে পা দিয়েছেন ইংল্যান্ডের মেয়েরা। তাতে টানা তিনবার বিশ্বমঞ্চের সেমিতে খেলা নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। কলম্বিয়া ও ইংলিশদের মধ্যে র‌্যাংকিং ব্যবধান ২১ হলেও লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। ৪৪ মিনিটে বক্সের কোণা থেকে লেইজি সান্তোসের দারুণ গোলে লিড পায় কলম্বিয়া। অবশ্য সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধের যোগ করা ষষ্ঠ মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের শিশুসুলভ ভুলে ইংলিশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান লউরেন হেম্প। ৬৩ মিনিটে ইংলিশদের কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন আলিসিয়া রুশো। এই গোলেই সেমিতে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, নরওয়ে, জাপানের মতো শক্তিশালী দলের বিদায়ে এখন প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে ইংল্যান্ড। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে আর দুটি ম্যাচ দূরে ইংলিশরা।