এএফসি কাপের বাছাই

আজ সিলেটে ঈগলস বাধা পেরুতে চায় আবাহনী

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

সপ্তাহ খানেক ধরেই দেশের বেশির ভাগ জায়গায় কখনো টানা, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এরকম অবস্থা আরো কয়েক দিন চলমান থাকতে পারে। বিকালে সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রোদণ্ডবৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যেই আজ বিকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলসের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা আবাহনী। প্রতিকূলতাকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে রাজি নন মারিও লেমোস। এএফসি কাপের বাছাইয়ে ঈগলসকে হারাতে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে সেরাটা নিংড়ে দেয়ার বার্তা দিলেন আবাহনী এই কোচ। এ ম্যাচের জয়ী দল পাবে প্লে-অফ রাউন্ডে খেলার সুযোগ। ঈগলস বাধা পেরুতে পারলে আবাহনীর প্রতিপক্ষ হবে ভারতের মোহন বাগান ও নেপালের মাচ্চিন্দ্রার মধ্যে জয়ী দল।

এই ম্যাচ সামনে রেখে গত শুক্রবার সিলেটে তাবু ফেলেছে ঈগলস। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পেয়েছে মালদ্বীপের লিগ রানার্সআপরা। অন্যদিকে ঢাকায় প্রস্তুতি সেরে গত সোমবার সিলেটে অনুশীলন করেছেন লেমোস। দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরা বসুন্ধরা কিংসে চলে যাওয়ায় লেমোসকে আক্রমণভাগ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে, যদিও ১০ জন বিদেশি বর্তমানে আছে তার হাতে। কিছুদিন আগে আবাহনী দলে ভিড়িয়েছে দুই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ব্রুনো মাতোস ও ফরোয়ার্ট জোনাথন রেইস। গত মৌসুমটা শিরোপাশূন্য কাটে আবাহনীর।

মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপে ‘আকাশি-নীল’ জার্সিধারীদের পথচলা থেমে যায় সেমিফাইনালে। ফেডারেশন কাপে হয় রানার্সআপ, প্রিমিয়ার লিগও তারা শেষ করে দ্বিতীয় স্থানে থেকে। আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠতে এএফসি কাপের বাছাইয়ের ম্যাচে তাই ভালো কিছু পেতে মরিয়া লেমোস। গত মৌসুমে লিগে এই মাঠই ছিল আবাহনীর হোম ভেন্যু। ফলে এ মাঠ রহমত-জীবনদের হাতের তালুর মতো চেনা।

গতকাল মঙ্গলবার ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লেমোসও জানালেন ঘরের মাঠে খেলা-এমনটাই অনুভব করছেন তিনি। ‘ফুটবল ইনডোর গেমস নয়। আমরা গরমে খেলতে পারি। বাংলাদেশে আমরা সব ধরণের আবহাওয়াই পাই, বৃষ্টি, গরম, এখানে আমরা তুষারপাত পাই না, যেটা আমরা ইউরোপে পাই। এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য যে, যেকোনো কন্ডিশনে খেলা যায়। এ নিয়ে কোনো অজুহাত নেই।’ আবাহনী কোচ বলেন, ‘যদি বৃষ্টি হয়, বৃষ্টির মধ্যে খেলব; যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলেও খেলব এবং মূল লক্ষ্য হচ্ছে ম্যাচটি জেতা; এ জন্য আমরা সর্বোচ্চটুকু দিব। যদি ভারি বৃষ্টি হয়, তাহলে হয়ত সুন্দর ম্যাচ হবে না। কিন্তু এটা সুন্দর ম্যাচের বিষয় নয়, মূল বিষয় হচ্ছে জিতে পরের ধাপে যাওয়া। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত মৌসুমেও সিলেটে আমাদের হোম ভেন্যু ছিল। কন্ডিশন যাই হোক, উই ফিল অ্যাট হোম।’

ঈগলসকে কঠিন প্রতিপক্ষ মানছেন লেমোস। জয়ের চাওয়া পূরণে ম্যাচের পরিস্থিতি ও প্রয়োজন বুঝে খেলার লক্ষ্য জানালেন তিনি। ‘আক্রমণে ঈগলস খুবই শক্তিশালী, ওদের আক্রমণভাগে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। ওরা মালদ্বীপের লিগের রানার্সআপ। তাদের বিপক্ষে ফল পাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছি এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের আক্রমণ এবং আরও বেশি সুযোগ তেরি ও গোল করার চেষ্টা করতে হবে।’

ক্লাব ঈগলসে মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দলের একাধিক ফুটবলার রয়েছে। বিদেশি সংখ্যায় আবাহনীর চেয়ে পেছনে তারা। মাত্র পাঁচজন নিয়ে এসেছে মালদ্বীপের ক্লাবটি। তাই নিয়েই লড়ার পণ ঈগলসের কোচ শিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা পাঁচজন নিয়েই ম্যাচ জয়ের জন্য খেলব।’ ম্যাচের চার দিন আগে আসায় পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে শিয়াজের শিষ্যরা, ‘আমরা একটু আগে এসেছি পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে। টার্ফে অনুশীলন করেছি কয়েক দিন খেলা ঘাসের মাঠে এতে আশা করি সমস্যা হবে না।’ এক লেগের ম্যাচ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে খেলা ড্র থাকলে অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে। সেখানেও ড্র থাকলে টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হবে। এই ম্যাচের জয়ী দল ২২ আগস্ট পরবর্তী প্লে�অফ খেলবে।