শৃঙ্খলা ভাঙলেই ক্যাম্প থেকে বহিষ্কার

বেতন বাড়িয়ে সাবিনাদের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

অবশেষে নারী ফুটবলারদের দাবি মেনে নিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণারানী সরকার, মারিয়া মান্দাদের বেতন, ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বুধবার বাফুফে ভবনে ফুটবলারদের সঙ্গে ফেডারেশনের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বেতন বাড়িয়েছে জাতীয় দলের ৩১ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাফুফে। তাদের দাবি ছিল ৫০ হাজার টাকা করে বেতন। সাবিনাসহ ১৫ জন ফুটবলারকে মাসে ৫০ হাজার টাকা করেই বেতন দেবে বাফুফে। ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানান, ৩১ জনকে চুক্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। চার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অঙ্কের চুক্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন পাবেন মাসিক ৫০ হাজার করে, ১০ জন ৩০ হাজার করে। বাকি ছয় জনের বিষয়ে বলার আগেই তাকে থামিয়ে দেন সালাউদ্দিন। চুক্তির বিষয় ‘কনফিডেন্সিয়াল’ হওয়ায় বিস্তারিত বলতে চাননি বাফুফে সভাপতি। বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি মেয়েদের হাতে কঠোর আচরণবিধিও ধরিয়ে দিয়েছে বাফুফে। পান থেকে চুন খসলে অনুশীলন বর্জন, বাফুফেকে না জানিয়ে কোথাও খেলতে যাওয়া- এসব চলবে না এখন থেকে। কোনো ফুটবলার শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাকে ক্যাম্প থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও চুক্তিপত্রে শর্তজুড়ে দিয়েছে বাফুফে। সংস্থাটির সূত্রের খবর, বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজন পাচ্ছেন ২০ হাজার করে, দুইজন ১৮ হাজার করে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকর হতে যাওয়া এই চুক্তি নিয়ে সন্তুষ্টি, আক্ষেপ দুটিই জানালেন সালাউদ্দিন। ‘অভিনন্দন সাবিনা, অভিনন্দন নারী দল। আমি মনে করি, তোমরা সবাই খুশি। চুক্তি খুবই সাধারণ। ওরা আমার কাছে যা যা চেয়েছিল, তার সবটুকুই দিয়েছি, ওদের চিঠির সবকিছুই দিয়েছি। একটা জিনিস দিতে পারিনি, সেটা হচ্ছে ঈদ বোনাস। ফুটবলে ঈদ বোনাস, ক্রিসমাস বোনাস বলে কোনো কিছু নাই। ওইটা ছাড়া ম্যাচ ফি, বেতন বাড়ানো, বিদেশ ট্রিপ-সব কাভার করেছি।’ অর্থের অভাবে এই মেয়েদের অলিম্পিক বাছাই খেলতে পাঠাতে পারেনি বাফুফে। তাহলে এখন এই বেতনের অর্থের জোগান আসবে কোথা থেকে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি জানিয়েছেন, ফিফার ফান্ড ও স্পন্সর থেকে মেয়েদের বেতনের টাকা দেবেন তারা। ‘পারিশ্রমিকের সংস্থান হওয়ার পথটাও খুব সাধারণ। আমাদের মেয়েদের কিছু ফিফা স্পন্সর আছে। সবদিক কার্টেল করে এখানে নিয়ে এসেছি; খেলোয়াড়দের খুশি রাখতে হবে। আমি পারলে এটা ডাবল করে দিতাম। মেয়াদ মাত্র ৬ মাসের। নবায়নের সুযোগ আছে।

পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে নবায়ন হবে। এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দের বিষয় নেই, যদি পারফরম্যান্স উন্নতি হয়, তাহলে বাড়বে, না হলে আরেকজন (উপরের পুলে) ঢুকে যাবে, সে পাবে।’ এর আগে একমাত্র অধিনায়ক সাবিনা খাতুন পেতেন ২০ হাজার টাকা। তার পরের ধাপে কয়েকজন ১০ হাজার এবং তৃতীয় ক্যাটাগরিতে থাকাদের ৫ হাজারের মতো পরিশ্রমিক দিত বাফুফে। নতুন চুক্তিতে খুশি হওয়ার কথা জানালেন সাবিনা। ‘প্রথমত আমি, সবার কাছে কৃতজ্ঞ। যেটা আসলে মেয়েরা দাবি করেছিল, আসলে দাবি না, আমি এটাকে আবদার বলব। স্যার সেটা পূরণ করেছে। মেয়েরা খুশি।’