ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মায়ামিতে এসে আমি খুশি সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল

মায়ামিতে এসে আমি খুশি সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল

‘খেলা শেষ হলো, শেষ হয় নাই বেলা’- বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসিও যেন কাজী নজরুল ইসলামের সুরে গেয়ে উঠেছিলেন এ অমর বাণী। ২০১৬ সালে খেলা শেষ করার ঘোষণা দিয়েও ফিরে এলেন। ২০২২ সালে জিতলেন বিশ্বকাপ, যেন জানান দিলেন ‘শেষ হয় নাই বেলা’। এবার সেই মেসিই মার্কিন মুল্লুুকের ‘সকার’কে ফুটবলে রূপ দেয়ার দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন কাঁধে। মাস দুই আগে ফরাসি ক্লাব পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখান মেসি। এই ক্লাবে যোগ দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার স্পোর্টস সেন্টার আর্জেন্টিনাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘আমার আসার সিদ্ধান্ত অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে। পরিবার সিদ্ধান্ত একটা অংশ ছিল। আমি খেলতে এসেছি এবং মায়ামিতে এসে খেলার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি খুব খুশি এবং এখানে উপভোগ করে চালিয়ে যেতে মুখিয়ে আছি।’ ২ বছর আগে তিনি যেভাবে প্যারিসে যোগ দিয়েছিলেন তার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আগমন সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল বলেই জানান এই আর্জেন্টাইন, ‘প্যারিসে যাওয়াটা কঠিন ছিল কারণ এটা যেভাবে ঘটেছে। এমন কিছু আমি চাইনি। একদিন থেকে পরের দিনই ঘটেছে। বার্সেলোনায় এত বছর পর আমাকে দ্রুত একটা নতুন জায়গায় অভ্যস্ত হতে হয়েছিল। এটা কঠিন ছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত মায়ামিতে এখন আমার সঙ্গে যা ঘটছে তার থেকে এটা অনেক আলাদা।’ ‘আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে। আমরা এটি নিয়ে চিন্তা করেছি এবং আমার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার সন্তানরাও এই সিদ্ধান্তের অংশ ছিল। আমি শুধু ফুটবল উপভোগ করে চালিয়ে যেতে এখানে এসেছি এবং আমি এই মুহূর্তের জন্য এই জায়গাটিকে বেছে নিয়েছি,’ যোগ করেছেন মেসি। তবে ইউরোপ ছাড়ায় ব্যালন ডি’অর পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছেন মেসি। তবে এ নিয়ে ভাবছেনই না তিনি, ‘আমরা জানতাম যে এটা নতুন সূচনা। আমি ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবছি না। যদি আসে তো ভালো এবং যদি না আসে, তবে কিছুই হবে না। আমার ক্যারিয়ারজুড়ে আমি অনেকবার বলেছি। ব্যালন ডি’অর জেতা অনেক বড় ব্যাপার, কিন্তু আমি কখনই এটাকে গুরুত্ব দেইনি। আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল দলীয় শিরোপা। আমি আমার কর্মজীবনে যে লক্ষ্য ছিল তা পূরণ করেছি এবং এখন আমার অন্যান্য লক্ষ্য রয়েছে।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবশ্য বেশ দারুণ সময়ই কাটাচ্ছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিয়েছেন খুব সহজেই। এমএলএসে তলানিতে থাকা দলটিকে নিয়ে উঠে গেছেন লিগস কাপের ফাইনালে। অথচ এর আগের ১১ ম্যাচেও কোনো জয় ছিল না দলটির। আর নিজেও রয়েছেন অসাধারণ ছন্দে। ছয় ম্যাচেই করে ফেলেছেন ৯ গোল। তবে ইন্টার মায়ামিকে এভাবে উজ্জীবিত করার জন্য কোচ জেরার্দো টাটা মার্তিনোকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন মেসি, ‘আমি অনেক আবেগ এবং আনন্দ নিয়ে এসেছি। এই সাফল্য পাওয়া চালিয়ে যেতে চাই। ফাইনাল খেলতে যাওয়াটা একটা আশ্চর্যের ব্যাপার। আমরা কেবল নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। টাটা মার্তিনোর আগমনে দলটি অনেক বড় হয়েছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত